ads

সোমবার , ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আমতলীতে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কর্তন : সংসদ সদস্য’র পরিদর্শন; ক্ষোভ প্রকাশ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ২২, ২০১৪ ৮:৪০ অপরাহ্ণ
আমতলীতে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কর্তন : সংসদ সদস্য’র পরিদর্শন; ক্ষোভ প্রকাশ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলীর দফাদার ব্রীজ ,বান্দ্রাবাজার, সেকান্দার খালী, পূজাখোলা,ছোনাউঠা, বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের নামে শত শত গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনইবিএল ও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাদু কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা । স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনা – আসনের সংসদস্য এ্যাডঃধীরেন্দ্রদেবনাথ সম্ভু।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-২০০১ সালে সবুজ বেষ্টনীর আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নং পোল্ডারের দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত এবং সেকান্দার খালী গ্রামে, পূজাখোলা, ছোনাউঠা, সমিতি গঠনের মাধ্যমে ১০ হাজার ফলজ এবং বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়। সরকারী চুক্তি অনুযায়ী এ গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। কিন্তু এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। কাজটি পায় ভারতীয়া এনইবিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামতের নামে দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি, পূজাখোলা, ছোনাউঠা , বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং সেকান্দারখালী গ্রামের ৩ কিলোমিটার বাঁধের শত শত গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে। কাটা গাছের মধ্যে রয়েছে রেন্ট্রি, চাম্বল, বাবলা, নারিকেল সহ অনেক ফলের গাছ। এসকল গাছ ও গাছের ডাল পালা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মো. সিদ্দিকুর রহমান মৃধা বনবিভাগের আমতলীর কর্মকর্তা মো. আবাদুল হাই সেলিম প্রভাব খাটিয়ে গাছগুলো কেেেছন বলে জানান উপকারভোগী সদস্যরা । এ ছাড়া ও অনেকে গাছ লুট করে নিয়ে জায় বলে স্থানীয় উপকারভোগি সেকান্দার মুন্সি ও ছত্তার মুছল্লী, মো. নুরুল ইসলাম জানান অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানান গেছে, গাছ কাটার জন্য উপজেলায় একটি ক্রয় বিক্রয় কমিটি রয়েছে। সরকারী কোন গাছ কাটতে হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার নিয়ম থাকলেও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ কাটায় বরগুনা- ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সোমবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে পূজাখোলা, ছোনাউঠা , বান্দ্রা, সেকান্দারখালী এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন ভিবাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটা বন্দের নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম দেলোয়ার হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ এম এ কাদের মিয়া, আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা, আওয়ামলীগ নেতা অহিরুজ্জামান খাল আলমাস প্রমূখ।পরিদর্শন মেষে বান্দ্রা বাজারে উপস্থিত লোকজনের সামনে সংসদ সদস্য এ্যাডঃ ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু বলেন “অবৈধভাবে গাছ কাটা আর মানুষ হত্যা করা সমান” তিনি এ বিষয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বন বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে টেন্ডার ছাড়াই সবুজ বেষ্টনীর গাছ কর্তন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ: মালেক জানান, আমরা গাছ কাটার কোন নির্দেশ দেয়নি। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। বনবিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্যনিয়ন্ত্রন বাঁধের কেটে ফেলেছে আমরা সে গাছ গুলো সংরক্ষন করছি। বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল হক জানান, গাছ কাটা বন্ধের জন্য আমতলী ইউএনওর মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!