ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে দুই পুলিশের এএসআইকে কুপিয়ে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জুলহাসকে ছিনিয়ে নেয়ার ১০ দিন পর মূল হামলাকারী সহোদর তিন ভাই বাবুল, হাবুল ও আব্দুলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মুক্তাগাছা পুলিশ। ২১ ডিসেম্বর রবিবার ভোররাতে তাদের মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী রসুলপুর ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর গহীণ অরণ্য থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামী হলো কুদ্দুস ও সাজু।

মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, পুলিশের উপর মূল হামলাকারী বন ও ভূমি দস্যু সহোদর তিন ভাই বাবুল, হাবুল ও আব্দুলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা ঘটনার পর থেকে মুক্তাগাছার রসুলপুর ও টাঙ্গাইলের গহীন অরণ্যে লুকিয়ে ছিল। গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হাবুলের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চুরি ও রাহাজানিসহ বন বিভাগের ৮৪টি মামলা, বাবুলের বিরুদ্ধে ৭৮ মামলা, আব্দুলের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা, কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা এবং সাজুর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। জিঞ্জাসাবাদ শেষে এদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছিনিয়ে নেয়া আসামী জুলহাসকে হণ্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তাকে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি কামাল হোসেন।
উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর মুক্তাগাছা থানার এএসআই শাহীনুর রহমান ও রেজা নুর রহমানের নেতৃত্বে ৬/৭ সদস্যের একটি পুলিশ দল উপজেলার ঘোঘা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জুলহাসকে ধরতে গেলে বাড়ীর লোকজন বাঁধা দেয় এবং ফেরার পথে বাড়ীর পাশে বনের ভিতর স্থানীয় সন্ত্রাসী ভূমি ও বনদস্যু বাবুলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সশস্ত্র হামলা করে এবং এএসআই শাহীনুর ও রেজানুরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে আসামী জুলহাসকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এএসআই শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ১৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
