চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসত ঘর ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গোপালগঞ্জ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নালুয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিনের পরিবারের সাথে একই গ্রামের অহিদুজ্জামান মোল্লার দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় প্রতিপক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি বসত ঘর ভাংচুর করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আলমগীর মোল্লা (৪০), জাকির মোল্লা (৩৫), সাঈদ মোল্লা(৪০), ফিরোজা দবির (৫৫), ছালাম মোল্লা (৫৪), সাকোয়াত মোল্লা (৬০), মার্জিয়া বেগম (৩৫), লিটন মোল্লা (৩২), জসীম মোল্লা (২৮), শাহীন মোল্লা (১৮), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪১), ঠাণ্ডা মোল্লা (৪৮), হান্নান মোল্লা (৩৫) এবং অপর পক্ষের অহিদুজ্জামান মোল্লা (৫০), ইলিয়াচ মোল্লা (৩৬), জাহিদ মোল্লা (৩৫), শাহাজাহান মোল্লা (৭০), খয়ের মোল্লা (৫৫) সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের কয়েক জনকে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফিরোজা দবির, আলমগীর মোল্লা, সাঈদ মোল্লা, ও জাকির মোল্লার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অহিদুজ্জামান মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিনের পরিবারের বসত ঘর ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তার অফিসের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলাকে কেন্দ্রে করে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তিনি সহ তার পরিবারের কয়েক জন আহত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাকোয়াত মোল্লা জানান, আকস্মিকভাবে অহিদুজ্জামান মোল্লা তার লোকজন নিয়ে তাদের বসতঘর ভাংচুর করে ও লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে, তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
