নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাতলামি, কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্সদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ ও জরুরী বিভাগে ভাংচুরের অপরাধে উপজেলা শ্রমিকলীগ ও রিক্সা/ভ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ইউএনও সালমা খাতুন।
হাসপাতাল ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে উপজেলা শ্রমিকলীগ ও রিক্সা/ভ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নেশা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স স্টার্ফদের ঘরে প্রবেশ করে মাতলামি শুরু করে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্সদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে তাদের হুমকি দেয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের আত্মচিৎকারে হাসপাতাল এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। রাতেই শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ব্যপক ভাংচুর করে। পরে রাত ১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন গেলে আরএমও ডাঃ মুরাদ হোসেন সহ অন্যান্য ডাক্তার জানান, কয়েকজন নেশাখোর এর জন্য প্রতিনিয়তই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যহত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ডাক্তারদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক শ্রমিক নেতার মুক্তি দাবি করে সিংড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রিক্সা/ভ্যান চালকেরা কিছু সময় রাস্তা অবরোধ করে। পরে দুপুর ২ টায় শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ভাম্যমান আদালতে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অপরদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সচেতন মহলে চলছে জোর গুঞ্জন।
সিংড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভাম্যমান আদালত পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে।

সিংড়ায় ফরম পুরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীর বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় নাটোরের সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষাথীরা অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ১৩ ডিসেম্বর অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু স্বাক্ষরিত এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য বিভিন্ন বিভাগে ২৮৬০ টাকা থেকে ৩২৬০ টাকা বোর্ড ফি নির্ধারণ করে নোটিশ দেয়া হয়। অথচ যেখানে মাত্র ১৭০০ টাকা বোর্ড ফি নির্ধারণ রয়েছে। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা বোর্ড ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। পরে বৃহস্পতিবার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা ফরম পুরণ না করার ঘোষণা দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। এর সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও একাত্বতা ঘোষণা করায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে অতিরিক্ত ফি কমানোর দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম, গোলাম শাহরিয়ার, শাপলা খাতুনসহ অনেকেই জানান, শিক্ষার্থীদের বেতন, সেশন চার্জ ও পরিক্ষার ফি বাবদ ৩১৫৫ টাকা জমা দেয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত বোর্ড ফি আদায় করছে।
অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্র ফি, কোচিং ফি সহ বিবিধ বিষয়ে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
