ads

রবিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ ২:১৯ পূর্বাহ্ণ

14 decemberশ্যামলবাংলা ডেস্ক : আজ ১৪ ডিসেম্বর; শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান দখলদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আলবদর, আলশামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জাতির প্রত্যাশা- জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যাকারী বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।

Shamol Bangla Ads

পরাজয়ের আগ মুহূর্তে চরম প্রতিহিংসায় উন্মত্ত পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় দালালরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে। মেধাশূন্য করে বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই সেদিন সারা দেশে বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতেছিল হানাদার ও তাদের সহযোগীরা। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী আত্দসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। আজ শ্রদ্ধাবনতচিত্তে জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, মৌন মিছিল ইত্যাদি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্দত্যাগের পথ বেয়ে বাংলাদেশ জ্ঞানভিত্তিক, প্রজ্ঞাময় সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালে এ দিনে হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে যারা শাহাদাতবরণ করেছিলেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিককে একাত্তরের ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতচক্রের সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এক কলঙ্কময় দিন। স্বাধীনতার উষালগ্নে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তাদের এই আত্দত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
কর্মসূচি : যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রত্যুষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের প্রস্থানের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতু্যষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করবে এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ রাখবে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে তারা। বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (খামারবাড়ী, ফার্মগেট) আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে আছে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকাল ৮টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, সিপিবি, বাসদ, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বিকেল ৪টায় রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচক হিসেবে থাকবেন শহীদজায়া পান্না কায়সার, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব ডা. এ বি এম জাফর উল্লাহ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সভাপতিত্ব করবেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!