শ্যামলবা্ংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগের দ্বারা মানুষ গুম, খুন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বোঝা সরাতে হবে। এই অত্যাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারলে দেশে শান্তি আসবে। তিনি ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বালুর মাঠে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথা বলেন।

সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, ‘দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সিভিল প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। ভালো ভালো অফিসারকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে একজন অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।’
বেগম জিয়া বলেন, নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। জ্বালানি তেলের দামও বাড়াবে তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে। আমি বলব এগুলো বাড়ানো যাবে না। যদি বাড়ানো হয় আমরা বসে থাকব না। কর্মসূচি দেব, সেই কর্মূসচি পালন করবে সবাই।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশ ধ্বংসের শেষপ্রান্তে এসেছে। পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে অপকর্ম করানো হচ্ছে। মানুষ গুম করানো হচ্ছে। সব পুলিশ বাহিনী খারাপ তা নয়। তাদের মধ্যেও দেশপ্রেমিক আছে। কিন্তু একটি বিশেষ জেলার ছাত্রলীগ-য্বুলীগকে পুলিশ বানিয়ে পুলিশের সুনাম ধ্বংস করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ দেশের জন্য অনেক কঠিন হতে পারে। যেভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবে মানুষকে হত্যার জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগনের কথা চিন্তা করি। আওয়ামী লীগ কথায় একটা কাজে আরেকটা। যারা এমন করে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এখন দেশে কোনো কর্মসংস্থান নেই। শিল্পকারখানা বন্ধ হচ্ছে। বেকারত্ত্ব বাড়ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার যুদ্ধ করে নাই। আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এটা জানতে হবে ছাত্র-যুব সমাজকে। তিনি (শেখ মুজিবর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি ফাঁসির ভয়ে।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।
এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব, সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আযহারুল হক মান্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
