ads

শুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বাকৃবি গবেষকের সাফল্য : টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে রাণীক্ষেতের টিকা আবিষ্কার

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ১২, ২০১৪ ৭:০৪ অপরাহ্ণ

A hen warms her chicks in the rain on the outskirts of Bangkokমো: আব্দুর রহমান, বাকৃবি প্রতিনিধি: টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে রাণীক্ষেত রোগের নতুন টিকা আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রফেসর ড. বাহানুর রহমান। বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে হেকেপ প্রকল্পে আয়তায় দীর্ঘ ৩ বছর গবেষণার পর তিনি সাফল্য পেয়েছেন।
মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ড. বাহানুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে ড. মারজিয়া রহমান, মোহাম্মদ ফেরদৌসুর রহমান খান, আল এমরান, লিয়াকত হেসেন, সুলতান আহমেদ ও সফিউল্লাহ পাভেজ গবেষনা করে সম্প্রতি টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে রাণীক্ষেত রোগের টিকা উৎপাদন করেছেন। এ টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন মুরগিরও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ড. বাহানুর জানান, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগসমূহ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা গেলেও ভাইরাস ঘটিত রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা যায় না। কারণ কার্যকরী কোন এন্টিভাইরাল ঔষধ নেই। তাই ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধে টিকার উপর নির্ভর করতে হয়। যেহেতু রাণীক্ষেত একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ তাই প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য রাণীক্ষেত রোগের টিকা ব্যবহার করা অপরিহার্য।
মুরগির ভ্রূণ ব্যবহার করে রাণীক্ষেত রোগের টিকা উৎপাদন একটি সনাতন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে টিকা উৎপাদন যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি উৎপাদন খরচও বেশি। তাই অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে রাণীক্ষেত রোগের টিকা উৎপাদনে টিস্যু কালচার পদ্ধতি অধিকতর কার্যকরী। তাছাড়া খামার পর্যায়ে টিকা বহন এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে জীবিত জীবাণুর টিকা থেকে মৃত জীবাণুর টিকা ব্যবহার বেশি সুবিধাজনক। টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথমে টিসিআডি৫০ নির্ণয় করা হয়। বিএইচকে-২১ নামক কোষে রাণীক্ষেত রোগের জীবাণুর অভিযোজিত তরলে নির্দিষ্ট পরিমাণ বাইনারি ইথিলিন এমিন যোগ করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টা ৩৭০ সেন্টিমিটার তাপমাত্রায় রেখে দেয়া হয়। পরে সোডিয়াম থায়োসালফেট যোগ করে বাইনারি ইথিলিন ইমিনের কার্যকারিতা রহিত করা হয়। ডিমের ভ্রূণের এলানটয়িক থলিতে মৃত টিকা প্রবেশ করিয়ে সক্রিয়তা পরীক্ষা করা হয়। মৃত জীবাণুর টিকার ডোজ ছিল ০.৫মিলি/মুরগি (ইআইডি৫০=১০৯.৫/মিলি)। উৎপাদিত টিকার মাধ্যমে গবেষক বিএইচকে-২১ কোষে উৎপাদিত টিকায় অন্যান্য টিকার মতো শতভাগ মুরগিকে ভাইরাস প্রতিহত করতে সক্ষম হন।
ড. বাহানুর জানান, মুরগির ভ্রূণ ও টিস্যু কালচার অভিযোজিত ৫০০ ডোজের টিকা উৎপাদনে প্রায় একই পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে সেখানে ভ্রূণ থেকে টিকা উৎপাদনে কমপক্ষে ১৬ দিন সময় লাগে। টিস্যু কালচার অভিযোজিত টিকা উৎপাদন করতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় দিন। ফলে এ প্রক্রিয়া বেশ লাভজনক।
জানা গেছে, রাণীক্ষেত ভাইরাসঘটিত ছোঁয়াচে রোগ যা গৃহপালিত ও বন্য পাখিতে দেখা যায়। এর প্রতিরোধ টিকার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে বিসিআরডিভি, আরডিভি, বাংলা বিসিআরডিভি টিকা ব্যবহার করা হয়। এগুলো জীবিত জীবাণু দিয়ে তৈরি। জীবিত টিকার জীবাণু মাঝে মাঝে মিউটেশনের মাধ্যমে রোগের সংক্রামণ ঘটাতে পারে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন মুরগিতে এ টিকা ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আছে। তবে প্রফেসর ড. বাহানুর রহমান মৃত জীবাণুর টিকা ব্যবহারে এ ধরনের কোন সমস্যার সম্ভাবনা নেই।
টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে রাণীক্ষেত রোগের নতুন টিকার ভবিষ্যত নিয়ে ড. বাহানুর বলেন, ‘এ টিকা বাজারজাত করণ এখন সময়ের ব্যাপার। ভালো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অচিরেই এই টিকা বাজারের পাওয়া যাবে’।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!