বেতাগী(বরগুনা) প্রতিনিধি : বেতাগীতে উপজেলার বিবিচিনি নিয়ামতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যক্ষ বরখাস্তের ঘটনায় বর্তমানে বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই পক্ষ। বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করে কলেজে প্রবেশে নিষিদ্ধ করায় পুলিশ মোতায়েন করে অবেশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। বরখাস্ত কেন্দ্র করে বির্তকের গ্যাড়াকলে অস্তিত্বের সংকটে পরেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে চলছে এলাকায় আলোচনার ঝড়।
গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাসকে ৫ ডিসেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলামকে দায়িত্বভার দেয়ায় চেয়ারে বসা নিয়ে দুই অধ্যক্ষের বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌছে।জানাগেছে, এলাকার উশৃঙ্খল লোকজন নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যক্ষের পাশের একটি চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করে।এতে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ বাঁধাদিলে তার উপড় চড়াও হয়ে হেনেস্তা করে এবং উওেজনার সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম,তহবিল তছরুপ, গভর্নিং বডির সাথে ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরন, নিয়োগ ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দুর্নীতি এ ধরনের একাধিক অভিযোগ আনা হলেও তা অস্বীকার করে প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন,মামলার প্রেক্ষিতে গভর্নিং বডির নির্বাচনের পুন:তফসীল কেন্দ্র করে কমিটির লোকজনের সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়।এর জের ধরে সম্পুর্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ঢাকায় সভাপতির বাসায় সভা করে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।এমনকি তারা প্রভাব খাটিয়ে বে-আইনীভাবে দাতা সদস্য নিয়োগ ও তাদের সহযোগীদের প্যানেল তৈরি করে নির্বাচনে অবৈধ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালচ্ছেন। অবিচার ও সম্মানের সাথে চাকুরি করার জন্য ইতোমধ্যে তিনি সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন,উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিস্টদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়ে তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ বলেন,গভর্নিং বডির হাতে যে,ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাতে অবৈধ ও নগ্ন হস্তক্ষেপ করলেও আমাদের কিছু বলার থাকেনা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন,কারো সাথে আমার বিরোধ নেই।প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গভর্নিং বডি।তাই তাদের দেওয়া অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি আর কিছু নয়।প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আরশাদ আবেদীন বলেন, অধ্যক্ষের অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তদের স্বার্থে বিধি অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।এতে আইনের কোন ব্যতয় ঘটেনি।
