কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মিডিয়া ছাড়া কোথাও নেই। বিএনপি যদি মনে করে ২০১৩ সালে তারা যেভাবে গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে জান-মালের ক্ষতির করেছিল পুনরায় যদি এই ধরনের সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করবে, তাহলে তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদানের পর গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৭৫’র জাতির পিতাকে হত্যার পরে জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী দলকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দিয়েছিল, বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল, গোলাম আযমকে ফিরিয়ে এনে নাগরিক্ত দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি পরবর্তীতে এই রাজাকারদেরকে পতাকা দিয়েছিল।

জামায়াত ইসলাম নিষিদ্ধের আইন সংশোধনের বিষয়ে হানিফ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ইশতিহার ঘোষনা করে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেুছলাম। যুদ্ধাপরাধীদের দায়ে এই দলকেই আমরা বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই জামায়াত ইসলামী দলকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে চিহিৃত করে শাস্তি দিলে এই দেশ রাজাকার মুক্ত হবে।
এরআগে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে সকালে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরের কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আওয়ামীলীগসহ জেলার সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এর আগে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ এবং জেলা মক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে পৃথক পৃথক র্যালী শহর প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট চত্বরে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নাসিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারন সম্পাদক আজগর আলী।
এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবীদ ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
