ইমরোজ খোন্দকার বাপ্পি, পাবনা : পাবনায় পাসপোর্ট করার সময় এক দালালসহ ৫ রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পাসপোর্ট অফিস চত্বর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ এ তথ্য জানান।

পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের চক ছাতিয়ানি এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় চট্রগ্রামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির দালালের মাধ্যমে ৫ রোহিঙ্গা নারীকে পাসপোর্ট করা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মায়ানমারের আরাকান প্রদেশের নাগপুর মন্ড গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সখিনা (২২), মৃত মোহাম্মদ জাকের আলীর মেয়ে ফারেজা (২৫), মৃত হারুন অর রশিদের মেয়ে জেসমিন (২৩), মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে হুমায়রা (২২), সৈয়দ হোসেনের মেয়ে সামিরা (২০) ও কক্সবাজারের ইসলামবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পলাশিয়া ঘাট এলাকার মৃত শফিকুলের ছেলে ইলিয়াস হোসেন।
দালাল ইলিয়াস জানান, প্রত্যেক নারীর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে পাসপোর্ট করতে পাবনায় তাদের আনা হয়। আমি ট্রাভেল এজেন্সির হয়ে কাজ করছিলাম।
এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে ট্রাভেল এজেন্সির নাম প্রকাশ করা হচ্ছেনা। তবে এই ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এই চক্র বিভিন্ন সময়ে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে বিদেশে পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমাদের ধারনা। রোহিঙ্গা নারীরা দালালের সহায়তায় পাবনা থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
