কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আজ ৮ ডিসেম্বর; ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী বাঘা যতিনের ১৩৫তম জন্মবাষিকী। ১৮৭৯ সালের এইদিনে কুমারখালির গড়াই নদীর পাড়ে কয়া গ্রামে মাতুল তলায় জন্মগ্রহন করেন বিপ্লবী বাঘা যতীন।
মূলত: তাঁর নাম ছিলো জ্যোতিন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯০৬ সালের এপ্রিল মাসে কয়া গ্রাম হতে দুই কিলোমিটার দূরে রাধারপাড়া মাঠের আখ ক্ষেতে ছুরি দিয়ে বাঘ হত্যা করে নিজেকে রক্ষা করায় তাঁর নাম হয়েছিলো বাঘা যতিন।
কয়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে কৃষ্ণনগরের অ্যাংলো ভার্নাকুলার হাই স্কুল হতে ১৮৯৮ সালে এন্টাস পাশ করেন। এরপর কলকাতা সেন্ট্রাল কলেজে ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হন। যুগান্তর দলের নেতা হয়ে তিনি দলকে আরও সুসংগঠিত করে বিপ্লবী অনুশীলন দলের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলেন।
বিপ্লবের এক পর্যায়ে বাংলায় আসা তাঁর জন্য বিপদজনক হয়ে ওঠে। তখন তিনি অবস্থান নেন উড়িষ্যার কাপ্তিগোদায়। ১৯১৫ সালে হ্যারি এন্ড সন্স গঠনের মাধ্যমে জার্মানী থেকে প্রচুর অস্ত্র ও প্রতি অস্ত্রের জন্য একাধিক গুলি সরবরাহের চুক্তি হয়।
১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চার যুদ্ধসঙ্গীসহ অস্ত্র খালাসের জন্য উড়িষ্যার বুড়ি বালামের দিকে রওনা হন বাঘা যতিন। ইতিমধ্যে বালেশ্বরের চাষাখন্দে আশ্রয় নিলে ব্রিটিশ সৈন্য বাঘাযতিন ও তাঁর চার যুদ্ধসঙ্গীকে ঘিরে ফেলে। সেখানে বন্দুক যুদ্ধের একপর্যায়ে বাঘাযতিনের যুদ্ধসঙ্গী বিপ্লবী চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর তিন সঙ্গী নীরেন দাসগুপ্ত, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত ও জ্যোতিষ পালসহ বাঘা যতিন গ্রেফতার হন। মারাতœক আহত অবস্থয় তাদেরকে বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাঘা যতিন শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
