হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে এ বছর সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের দিগন্তজোড়া মাঠে এখন শুধুই হলুদের সমারোহ।নদী পাড়ের বিস্তির্ণ ফসলি মাঠ যেন হলুদ চাদরে আবৃত। দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য যে কোনো পথিককেই আকৃষ্ট করছে। মনে হয় নিপুণ শিল্পীর তুলিতে আকাঁ এ ছবি। সরিষার চেয়ে ফুলের কদর বেড়ে যাওয়ায় সরিষাফুল বিক্রি করে উপজেলার অনেকেই আজ লাখোপতি।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সরিষার লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৪২০ হেক্টর কিন্তু আবাদ হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সরেজমিনে উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের আদর্শ কৃষক বাদল মিয়া,আলামিন,খোকন মিয়াসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগেও সাহেবের চর এলাকায় শুধু বাদাম ও মিষ্টি আলুর চাষ হতো । বর্তমানে সরিষা ফুলের কদর বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর চরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমান সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
এ দিকে উপজেলার চর-হটরআলগী গ্রামের কৃষক কাজল মিয়া,রাসেল মিয়া,সবুজ মিয়া জানান,তারা এ বছর প্রত্যেকেই গড়ে ২.৫ একর জমিতে আগাম সরিষার আবাদ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আড়তদারের কাছে শুধু সরিষাফুল বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।
স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে সরিষায় রয়েছে নানাবিধ ভেষজ গুনাগুণ। সর্দি-কাশিতে রসুন গরম করা সরিষার তেল খুবই উপকারি। তাছাড়া সরিষার খৈইল মাছ চাষ,গবাদি পশুর খাবার ও জৈব সার হিসাবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।তাই সরিষার কদর সর্বত্রই।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সুলতান আহম্মেদ জানান, কম খরচে সরিষা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকের প্রধান অর্থকরি এখন ফসল সরিষা।তাছাড়া সরিষা চাষে পোকা মাকড়ের আক্রমন ও রোগবালাই কম হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
