ads

রবিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আজ নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ৭, ২০১৪ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

Nalitabari-Smriti folokনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি: আজ ৭ ডিসেম্বর; নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বাজী রেখে পাকহানাদার বাহিনীদের পরাস্ত করে নালিতাবাড়ীকে দখল মুক্ত করেন।

Shamol Bangla Ads

মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শেরপুরের সীমান্তবর্তী গুরুত্বপুর্ণ জনপদ নালিতাবাড়ীতে দুইদিন দুইরাত সরাসরি যুদ্ধের পর মুক্তির এইদিনটি এলাকার মানুষের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে আজও। এদিন পাকহানাদার বাহিনী বর্তমান উপজেলা পরিষদ, রামচন্দ্রকুড়া ফরেষ্ট অফিস, হাতিপাগার বিডিআর ক্যাম্প তিনআনী ও ঝিনাইগাতির আহাম্মদ নগরে শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে ।
দীর্ঘ ৯ মাসে নাকুগাঁও ঢালু সীমান্তে ২৫ মে ভোরে পাকিস্তানী হায়েনার দল অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৯ জন ভারতীয় বিএসএফসহ কয়েকশ বাংলাদেশীকে হত্যা করে ভোগাই নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
৩০ জুন তন্তর গ্রামের ৭ জনকে হত্যা করে। এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার অপরাধে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে অর্ধশতাধিক মানষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাকহানাদার বাহিনী। নন্নীÑবারমারী সড়কে একজন ক্যাপটেনসহ ৬ জন সৈন্য জীপ দিয়ে যাওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরনে পাকবাহিনী আতংকিত হয়ে পড়ে। শেষে কৌশল পরিবর্তন করে নালিতাবাড়ী থানা সদরে রাজাকার আল বদরদের সহায়তায় শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে।
২৫ জুলাই উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮৭ জন নারীÑপুরুষ শিশু সহ নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে।
১ ডিসেম্বর এই ঘাঁটি থেকে শত্র“ মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা অভিযান চালালেও সফল হতে পারেনি। বরং হাছেন আলী মুন্সি, আয়াত আলী নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরন করেন। রাজাকার আলবদররা এই দুই বীরের মৃত দেহ নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠে। তাদের পায়ে রশি বেধে টেনে হিচড়ে শহরের অদুরে মাটি চাপা দেয়।
৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে পুণরায় ক্যাম্প দখলের লড়াই শুরু হয়। এ লড়াইয়ে মিত্রবাহিনীর একটি ও মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি দল অংশ গ্রহন করে। টানা দুইদিন দুইরাত গুলিবর্ষনের পর ৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমান দিয়ে বোম্বিং করার পরিকল্পনা করে। এতে জানÑমালের ব্যাপক ক্ষয়Ñক্ষতির কথা চিন্তা করে সে পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয় । এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা আক্রমন শিথিল করে দেয়। এ সময় ক্যাম্পের আলবদর, রাজাকাররা পালিয়ে যায়। সারা রাত কোন সাড়া শব্দ নেই। আতংকগ্রস্থ এলাবাসী অপেক্ষা করতে থাকেন কখন ভোর হবে।
অবশেষে ৭ ডিসেম্বর পূর্বদিগন্তে সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলা, জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত করতে করতে এলাকায় ঢুকতে থাকে, ক্রমেই স্লোগানের আওয়াজ স্পষ্ট হয় কেটে যায় শংকা। মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে সবাই। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরা এগিয়ে যায় সামনের দিকে পিছু হটে হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় নালিতাবাড়ী, পতপত করে উড়তে থাকে লাল সবুজের পতাকা স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!