স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের মামলায় নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবাপল্লীর ঘটনাতেই আলবদর প্রধান ও জামায়াতের শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি বহাল রয়েছে। কাজেই একাত্তরের নারকীয় ঘটনায় জাতির বুকে চেপে থাকা কলংকমুক্তির ক্ষেত্রে বিধবা পল্লী বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। এই বিধবা পল্লী এখন একদিকে আর্ন্তজাতিকভাবে পরিচিত একটি নাম, অন্যদিকে তা এখন জাতির মডেল হিসেবেই পরিগণিত। তিনি ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে আয়োজিত মসজিদের মোয়াজ্জিন ও মন্দিরের পুরোহিতগনের মাঝে শীতবস্ত্র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিআরের চেক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া, উলঙ্গ নৃত্য নিষিদ্ধ করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে সেগুলো পুনরায় চালু করেছিলেন। আর পাকিস্তান আমল থেকে রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়ার রেস হতো। সেদিন বঙ্গবন্ধু সেই রেসদৌড়ও বন্ধ করেছিলেন। কারন রেসের নামে জুয়া হতে পারে না। ইসলামের সেবা বলেন আর ধর্ম বলেন, শান্তিতে যার যার ধর্ম পালন করার জন্য শেখ হাসিনা তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার আমলে কোন হজ্ব মৌসুমেই ঝামেলা হয়নি। গতবার এশিয়ার ভেতর আমরা হজ্বে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। এবারও আমরা হজ্বে ভাল করবো বলে আশা করি। তিনি বলেন, দেশটাতো এখনও বড় লোকের দেশ হয়নি। তাই চেষ্টা করেও সব কিছু করে উঠা সম্ভব হয় না। তবুও দেশের উন্নয়নে চেষ্টা করছি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাইদ মোল্লা, পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জিয়াউল হক মাষ্টার, সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম উকিল প্রমুখ। এদিন মন্ত্রী দিনব্যাপি নালিতাবাড়ী পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপজেলার ৬শ’ গরীব-দুঃখীর মাঝে শীতের কম্বল, ৬০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৪৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার টিআর’র চেক ও ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৪শ’৪৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা প্রণোদনার জন্য ৫শ টাকা করে বিতরণ করেন কৃষিমন্ত্রী।
