মো.সুজন রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : কালের সাক্ষী মহিষের গাড়ী এখনও নন্দীগ্রামে রয়েছে। যে মহিষের গাড়ী চলাচল অনেকটা বিলুপ্তি হয়েছে। ৮০ দশকের পূর্বে উপজেলা বা থানা সদর থেকে জেলা সদরে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভাল ছিলনা। ইটদ্বারা সলিং করা রাস্তা ছিল। তখন উপজেলা বা থানা সদর থেকে ওই সময়ের নিম্নমানের গাড়ীতে জেলা সদরে যেতে হতো সবাইকে। গ্রাম-গঞ্জে ইটসলিং রাস্তাতো দুরের কথা ভাল মাটির রাস্তাই ছিলনা। তখন গ্রাম-গঞ্জের মানুষ গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ীতে চলাচল করতো। শুধু মানুষ নয়। সকল প্রকার মালামাল ওইসব গাড়ী দিয়ে বহণ করা হতো। কাঠ-বাঁশ দিয়ে ওইসব গাড়ী তৈরী করা হয়। ৮০ দশকের পর কিছুটা ইটসলিং রাস্তার কাজ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো পর্যায়ক্রমে ইটসলিং ও কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়। তখন থেকে ভ্যান-রিকশা চলাচল শুরু হয়। সে সময় থেকেই গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ীর চলাচল কমতে থাকে। এখন আর গ্রাম-গঞ্জেও গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ী চোঁখে পড়েনা। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পলী গ্রাম শশিনগর। ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর এখনও মহিষের গাড়ী রয়েছে। সে মহিষের গাড়ী দিয়ে গ্রাম থেকে হাট-বাজারে ধানসহ অন্যান্য মালামাল বহণ করে আসছে। গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর তাকে শশিনগর গ্রাম থেকে কুমিড়া পন্ডিতপুকুর বাজারে ধান বোঝাই মহিষের গাড়ী চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। যা দেখে মনে হয় ওই মহিষের গাড়ীটি কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। বর্তমান আধুনিক সময়ে গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ী বিলুপ্তিই ঘটায় আর চোঁখে পড়েনা।