কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে আরিফ মাহমুদ : ভ্যাপসা গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। আর দু’য়ের ভোগান্তিতে রীতিমত নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে কলারোয়ার জনজীবন। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলায় চরম বিপর্যস্থ সকলে। অতিসম্প্রতি বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতিতে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিদ্যুতের লোডশেডিং আরো তীব্রতর হয় সন্ধ্যার দিকে। সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুতের বারংবার যাওয়া-আসার প্রতিযোগিতায় তিক্তবিরক্ত হয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ। সাথে যোগ হয় প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। বিদ্যুত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা যেমন লোডশেডিং-এর কারনে ধাক্কা খাচ্ছে তেমনি বিদ্যুত না থাকায় শিক্ষার্থীসহ সকলে যার যার অবস্থান থেকে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। বিগত দিনের তুলনায় যখন বিদ্যুতের উৎপাদন বেশি হয়েছে ঠিক তখনই সারাদেশের ন্যায় কলারোয়াসহ সাতক্ষীরাঞ্চলে বিদ্যুতের এ ভয়াবহ লোডশেডিং ও যাওয়া-আসার লুকোচুরি খেলা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। কেউ কেউ আবার বিরূপ মন্তব্য করতেও কুন্ঠাবোধ করছেন না। জনজীবনের ভোগান্তি হ্রাসে অবিলম্বে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সহনীয় পর্যায়ে আনতে দাবি জানিয়েছেন সকলে।
কলারোয়ার শ্রীশ্রী হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রম সংষ্কারের দাবি জাতীয় সংসদে
ধর্মীয় অবতর শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুর সনাতন ধর্মাবলম্ববীদের কাছে পূজারী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এলাকায় হরিদাস ঠাকুরের মন্দিরসহ বিশাল মনোরম উপাসনালয় রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের ওই এলাকাটি শ্রীশ্রী হরিদাস ঠাকুরের নামানুসারে ‘হরিদাসপুর’ রাখা হয়েছে। সেই সনাতন ধর্মীয় অবতর শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামে অবস্থিত। সেই জন্মভিটায় মন্দির, আশ্রমসহ অন্যান্য উপসানলয় যেমন রয়েছে তেমনি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত দেশ-দেশান্তরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দ সেখানে সমবেত হন। কিন্তু সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার অভাবে আশ্রমটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অক্লান্ত পরিশ্রম আর আর্থিক সহযোগিতায় তিল থেকে তাল হতে শুরু করেছে হরিদাস ঠাকুর মন্দির ও আশ্রম। তবে আশ্রম সংষ্কারের জন্য প্রধান জরুরী প্রয়োজন সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা। সেই প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে আশ্রমের অবকাঠামোগত সংষ্কার ও উন্নয়নের বিষয়টি সোমবার বিকেলে মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এজন্য সাংসদকে আশ্রম পরিচালনা পরিষদ ও ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আ’লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দনও জানানো হয়েছে। অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র, সা.সম্পাদক সন্দীপ রায়, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন, সা.সম্পাদক মারুফ হোসেন প্রমুখ।
কলারোয়ায় পশু পালনের উপর কর্মশালা
কলারোয়ায় পশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার গোয়ালচাতর প্রাইমারী স্কুলে এ কর্মশালার আয়োজন করে কলারোয়া ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পের সদস্যেদের নিয়ে আয়োজিত ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও এভিপি আবুল হোসেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আ.রহিম, প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদ আল হাদী, জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক জুলফিকার আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
কলারোয়ায় মাদকসেবীকে কারাদন্ড
কলারোয়ায় এক মাদকসেবীকে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদন্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম (২৬) পৌরসভাধীন গদখালী গ্রামের মৃত আ.রহমানের ছেলে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুজ্জামান মাদকসেবী কালামকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদাণ করেছেন। জানা গেছে, রবিবার সকালে মাদক সেবনের অভিযোগে আবুল কালামকে উপজেলার সরসকাটি বাজার এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হলে কলারোয়ার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুজ্জামান মাদকসেবী কালামকে ৬মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড প্রদান করেন। মাদক আইনের ১৯(১) টেবিলের ৭(ক) ধারায় এ কারাদন্ড প্রদাণ করা হয় বলে জানা গেছে।
কলারোয়ায় এক ব্যক্তি আটক
কলারোয়া এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলার ঝাপাঘাট এলাকা থেকে খোরদো গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোকাররম হোসেন (২৮)কে পুলিশ আটক করে। আটককৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।