কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামায়াত শিবিরের গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে ৭ নেতা কর্মীকে আটক করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কোমরপোল বাজারের পাশে জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে এস আই আসাদুল ইসলাম শাকিল,এস আই দীপক কুমার দত্ত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার হাবাসপোল গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা বেলাল হোসেন (২৯) , ব্রাম্মণডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইবাদ আলী মাষ্টারের ছেলে রাকিবুল হাসান(২৭), কোমরপোল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন(২২), কড়িয়াখালী গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার(১৮), ব্রম্মকাটি গ্রামের মৃত আজিজ খাঁর ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৯), আলতাপোল গ্রামের মৃত আনোয়ারুজ্জামানের ছেলে সাবিরুজ্জামান(৩৬) ও মনিরামপুর থানার চালুয়াহাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে ইসরাফিল হোসেনকে(২০) আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের নিকট থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থক ফোরামের ১১ টি লিপলেট উদ্ধার হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ (যার নম্বর১২)। বুধবার সকালে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কেশবপুরে অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণে বিভিন্ন সড়কে ধস
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেশবপুরের মৎস্য ঘের মালিকরা সড়ক ও জনপথ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার সড়ক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ তাদের ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করার ফলে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের কেশবপুর এলাকার প্রায় ১কি.মি.সড়কসহ গ্রামীণ ২০ কিলোমিটার রাস্তায় ফাটলসহ ধসে যাচ্ছে । কেশবপুর উপজেলায় ছোট বড় মিলে ৩ হাজার ৬৩১টি মাছের ঘের রয়েছে। ঘেরগুলি অপরিকল্পিত ভাবে করায় সরকারি রাস্তা ঘেরের বেড়ি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘেরে মাছের খাদ্য হিসেবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করাসহ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করার পাশাপাশি অতিবৃষ্টি ও ঘেরের পানির প্রচন্ড ঢেউয়ে রাস্তায় দ্রুত ফাটল ও ধসে যাচ্ছে। কেশবপুর-সরসকাটি ,বগা, গড়ভাঙ্গা ও ব্যাসডাঙ্গা সড়কসহ প্রায় ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সিংহভাগ ঘেরের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মালবাহি ও যাত্রিবাহি যান চলাচলে দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে যশোর-সাতক্ষীরা ব্যস্ততম সড়কের মনিরামপুর উপজেলার ছাতিয়ানতলা নামক স্থান থেকে কেশবপুর পৌর শহর পযর্ন্ত ৪কি.মি.সড়কের পাশ দিয়ে কোন আলাদা বেঁড়িবাধ না দিয়ে ঘের করায় সড়কের প্রায় ১০টি স্থানে বড় বড় ধ্বস নেমে ফাটল শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এসব ঘেরে মাছের খাদ্য হিসেবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় ঘের বেড়ির আশপাশের গাছগাছালি মরে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের দুরত্ব ৬৮কি.মি.। সাতক্ষীরার ভোমরায় বৃহত্তম স্থলবন্দর হওয়ায় এই সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মালবাহী ট্রাক ও যাত্রিবাহী বাস চলাচল করে। কেশবপুরের ঘের মালিকরা তাদের ইচ্ছামত সরকারি সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে তাদের ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যাতে সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০২-০৩ অর্থবছরে যশোর সাতক্ষীরা এই সড়কটির টেকসইসহ দৃষ্টি নন্দন করতে যশোর জেলা পরিষদের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় উপজেলা বনায়ন প্রকল্পের আওতায় কেশবপুর মধ্যকুল সমবায় সমিতি এই সড়কের ছাতিয়ানতলা থেকে কেশবপুর পযর্ন্ত ৪কি.মি. সড়কের দু’ধারে সাড়ে ৪ হাজার বাবলা,মেহগনী ও ভুতনিমের চারা রোপন করে। বর্ষা মৌসুমে সড়ক ধ্বসে রোপন কৃত গাছ গত বছর ঘেরের অভ্যন্তরে চলে যায়। বর্ষা মৌসুমের পুর্বে সড়ক রক্ষণাবেক্ষনে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া না হলে গ্রামীণ অবকাঠোমো বিলীন হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ রায়হান কবির জানান, রাস্তায় ফাটল ও ধসে যাওয়ার ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া ঘের মালিকদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।