রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরজুড়ে ৮ কারখানা বিশুদ্ধ ফিল্টার পানি সরবরাহ করছে। এর মধ্যে কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশই অননুমোদিত ও ভেজাল পানি সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পানির অপর নাম জীবন। আর সেই পানি ভেজাল কিংবা দুষিত হলে ঘটে ঠিক এর উল্টোটি। সোমবার এসব পানির কারখানা বন্ধে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। এসময় জরিমানা করা হয় কারখানা মালিক ও ম্যানেজারকে। একই সঙ্গে সিলগালা করে দেয়া হয় ওই দুটি কারখানা। রাষ্ট্রায়ত্ব মান নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা বিএসটিআই এবং র্যাব ওই অভিযানে অংশ নেয়।বিএসটিআইর ভারপ্রাপ্ত রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস প্রধান ও উপপরিচালক (পদার্থ) প্রকৌশলী এম এ হান্নান জানান, দুপুরে নগরীর সপুরা, হাজরা পুকুর ও বিসিক এলাকায় ভেজাল ও অনুমোদনহীন পানি (ড্রিংকিং ওয়াটার) সরবরাহ বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিরুল ইসলাম।এসময় বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন ভেজাল ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদন ও সরবরাহের দায়ে নগরীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার ওয়াসিস ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানী এবং হাজরা পুকুর এলাকায় এনবি ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানী সিলগালা করে দেয়া হয়।এর আগে আদালত বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এর ৩১-এ ধারায় ওয়াসিস ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানী সস্ত¡াধিকারী রফিকুল ইসলাম স্বাধীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে দেয়া হয় ২ মাসের কারাদন্ড। এছাড়াএনবি ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানীর ম্যানেজার ফারুক হোসেনকে (৩০) ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তবে তাৎক্ষকিভাবে জরিমানা পরিশোধ করে মুক্তিপান দন্ডিতরা।এছাড়া নগরীর ওয়াটার রেভ্যুলেশন ও বরেন্দ্র ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু ওই সময় কারখানা ২টি বন্ধ ছিলো। জনস্বার্থে বিএসটিআই’র এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওই বিএসটিআই কর্মকর্তা।