ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ছাতকের জালালপুর-লামারসুলগঞ্জ মরহুম আবুল খয়ের সড়কে অটোটেম্পু-অটোরিক্সা শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের আজ মঙ্গলবার ৪র্থদিন চলছে। সড়কের পালপুর পয়েন্টে এক সিএনজি শ্রমিকের উপর নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এ ধর্মঘট শনিবার সকাল ১০টা থেকে পালন করা হচ্ছে। শনিবার সকালে দোলারবাজার থেকে গোবিন্দগঞ্জে আসার পথে মুক্তারপুর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র সিএনজি চালক আনোয়ার হোসেনকে যাত্রী উঠানোর অভিযোগে পালপুর পয়েন্টের লেগুনা ষ্ট্যান্ডের ম্যানেজার হিরন মিয়া মারধর করে। এ ঘটনায় আনোয়ার ফের দোলারবাজার ষ্ট্যান্ড ম্যানেজারসহ স্থানীয় লোকজনের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়ে আসার পথে আবারো সে হামলার শিকার হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা অটোটেম্পু-অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় উপজেলার জালালপুর, দোলার বাজার, বরাটুকা, রসুলগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, কামারগাঁও, জাউয়া, পাগলা, মানিকগঞ্জ, ছাতক, নোয়ারাই, বসন্তপুর ও গোলচন্দ উপ-শাখার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, দোলারবাজার সিএনজি ষ্ট্যান্ড উপ-কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান তালুকদার, রাকিবুল ইসলাম, জালালপুর পয়েন্ট উপ-কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন, শ্রমিক নেতা বাবুল মিয়া, বরাটুকা উপ-কমিটির আবুল লেইছ, বাবুল আহমদ, দোলারবাজার উপ-কমিটির এনামুল হক, শানুর আলী, শ্রমিক নেতা আব্দুল আউয়াল, স্বাচ্ছু বিশ্বাস, আব্দুল খালিক, জিয়াউল হক, সামছুল হক, সেলিম আহমদ, হাসান আহমদ, আজহারুল ইসলাম, আব্দুল কাহার, আব্দুল আলীম, আব্দুল আজিজ, আনোয়ার হোসেন, মনির উদ্দিন, কাওছার আহমদ, আবদাল মিয়া, হেলাল আহমদ, আব্দুল জব্বার, দুলাল মিয়া, লুৎফুর রহমান, বাচ্চু মিয়া প্রমুখ। বক্তারা পালপুর পয়েন্টে জনৈক নেছার আলীর নেতৃত্বে হিরন মিয়া সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ী চালকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে। তারা এসব চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে পালপুর পয়েন্টে শ্রমিক নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে বলে হুসিয়ারি উচ্চারন করেন। এদিকে নেছার আলী শ্রমিকদের অভিযোগ প্রত্যাখান করে জানান, শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় রইছ আলী মেম্বার, নুর মিয়াও জয়নাল আবেদীন মেম্বারের সাথে তিনি নিজেও সালিশীতে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের কারনে এলাকায় ব্যাপক জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে পারছেনা। তারা শীঘ্রই শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবের দাবী জানান।
সিলেট বিভাগে সমাজসেবায়- ছাতকে এক ইউপি সদস্যের শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদক লাভ
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আমিরুল হক সিলেট বিভাগে সমাজসেবায় সফল সমাজসেবক হিসেবে বিশেষ অবদান রাখায় ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদক-২০১৪ লাভ করেছেন। গত ১৩সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ সেগুন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ‘নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ পদক গ্রহন করেন। বিশিষ্ট নদী বিজ্ঞানী, ইউনাইটেড মুভমেন্ট রাইটসের উপদেষ্টা এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে ও ত্রিমুখি খান রিমু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব খুরশেদ আরা হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অর্থ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার নাথ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুকন উদ-দৌলা, অবসর প্রাপ্ত ডিআইজি প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সেক্রেটারী গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনাইটেড মুভমেন্ট রাইটসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবায়ের আল-মামুন, সেক্রেটারী শাহরিয়ার স্বপন। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাতকের ইউপি সদস্য আমিরুল হক প্রমুখ। সংবর্ধনা সভায় দেশের ১৫জন গুনীজনকে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদক-২০১৪ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, আমিরুল হক ২০০৩সাল থেকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে দু’বার নির্বাচিত হন। তিনি জাগ্রত ছাতকবাসী সংগঠন ও উপজেলা ইউপি সদস্য-সদস্যা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক, গোবিন্দগঞ্জ কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, ব্রাহ্মনগাঁও সামাজিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সভাপতি, মোহাম্মদিয়া আইডিয়াল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া তিনি এলাকার নিরক্ষরতা দূরীকরনে বয়স্ক শিক্ষা ও ঝরে পড়া শিশুদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে এলাকায় বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া নিজ বাড়িতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছেন তিনি। এসব অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এর আগেও তিনি বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন।
ছাতকে একটি অপমৃত্যুকে হত্যা সাজিয়ে প্রতিপক্ষ ঘায়েলের অপচেষ্টা
ছাতকের পল¬ীতে একটি অপমৃত্যুর ঘটনাকে নিয়ে দু’পক্ষে নানা অপ-প্রচার চলছে। একে অপরকে ঘায়েল করতে একটি অপমৃত্যুকে হত্যার ঘটনা সাজিয়ে প্রচার মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এ প্রচারনা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জনমনে চরম অসন্তেুাষ বিরাজ করছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় পশ্চিম পাড়া গ্রামের আরিছ আলীর পুত্র আলী নূর ও একই গ্রামের আফতাব আলীর পুত্র লালু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে গত রোববার দু’পক্ষে সংঘর্ষের উপক্রম হলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। গতকাল সোমবার এনিয়ে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী মহদী গ্রামের নইমুল¬ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৪৫) মধ্যস্থতা করে বাড়িতে ফিরে আসেন। আসার পর সিরাজ মিয়ার বুকে ব্যথা অনূভূত হচ্ছে বলে তার স্ত্রীকে বলেন। এতে সিরাজ মিয়ার ভাই গিয়াস উদ্দিনসহ প্রতিবেশীরা তাকে স্থানীয় সিংচাপইড় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। এব্যাপারে নিহতের ভাই গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার ভাই সিরাজ মিয়া সংঘর্ষে মারা যাননি। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ছাতক থানার এএসআই জানান, ঘটনাটি হত্যাকান্ড না হলেও একটি মহল এটিকে প্রতিপক্ষ ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, সিরাজ মিয়া হার্টএটাকে মারা গেছেন।