ads

সোমবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

গাইবান্ধায় নির্বিচারে সড়কের গাছ কর্তন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪ ৬:৫২ অপরাহ্ণ
গাইবান্ধায় নির্বিচারে সড়কের গাছ কর্তন

রংপুর সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদাহাট-নাসিরাবাদ সড়কের দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার এলাকা থেকে সাত দিনে পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মূল্যবান সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত দিন ধরে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, কাটাবাড়ি ইউনিয়নের চার কিলোমিটার দীর্ঘ বাগদাহাট-নাসিরাবাদ কাঁচা রাস্তা ও দুই কিলোমিটার দীর্ঘ হঠাৎপাড়া-মাজার সড়কের দুই ধারে ১৫ বছর আগে ১২-১৩ হাজার গাছ রোপণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ইউক্যালিপটাস, আশামনি ও শিশুগাছই বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগদাহাট এলাকার এক কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, এসব গাছের মূল্য এক কোটি টাকার বেশি হবে। কিন্তু দরপত্র আহ্বান তো দূরের কথা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যান মাত্র সাড়ে ৬৮ লাখ টাকায় এসব গাছ বিক্রি করেন। বাগদাহাট এলাকার জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী এসব গাছ কিনেছেন। তবে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে যোগাযোগের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর আলমকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও পাওয়া যায়নি। গত শনিবার ও রোববার রাত নয়টা পর্যন্ত মুঠোফোনে অন্তত ১৫ বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাটাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসানকে পাওয়া যায়নি। কখনো ফোন বাজলেও তিনি ধরেননি। আবার কখনো সংযোগ কেটে দেন। এ ছাড়া কয়েকবার ব্যস্ত পাওয়া গেছে। গাইবান্ধা জেলা সামাজিক বনায়ন অঞ্চলের সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন কোনো গাছ বিক্রি করতে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আকারে এ-সংক্রান্ত উপজেলা কমিটিতে পাঠাতে হবে। এই কমিটি ছয় সদস্য বিশিষ্ট। কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদস্যসচিব সহকারী কমিশনার (ভূমি)। অন্য চার সদস্য হলেন উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি। এ ছাড়া গাছের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলে ইউএনও প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠাবেন। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই গাছ বিক্রি করতে হবে। ইউএনও মামুন-উল-হাসান বলেন, কয়েকটি ইউনিয়নের গাছ বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাটাবাড়ি ইউনিয়ন আছে কি না, কাগজপত্র না দেখে বলতে পারছি না। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও গোবিন্দগঞ্জ বন বিভাগের বনরক্ষক (ফরেস্টার) মিজানুর রহমান বলেন, ওই ইউনিয়নের গাছ কাটা কিংবা বিক্রির জন্য উপজেলা কমিটি কোনো অনুমোদন দেয়নি। এ নিয়ে কোনো সভাও হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে অন্তত আমার জানার কথা। উপজেলা প্রকৌশলী আহসান কবির বলেন, গাছ বিক্রির অনুমতিসংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভা হয়েছে কি না, আমি জানি না।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!