স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর-১ (সদর) আসনের এমপি আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে বিশেষ মহলের দায়ের করা একের পর এক মামলা উচ্চ আদালত খারিজ করায় শেরপুর সদর উপজেলার জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। তিনি ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে ওই কথা বলেন।
তিনি বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিনের সমালোচনা করে বলেন, তিনি (ইলিয়াছ উদ্দিন) বিগত ৫ বছরে সদর উপজেলার কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। ফলে সদর উপজেলার উন্নয়ন তহবিলের আড়াই কোটি টাকা ফেরত গেছে। এছাড়া বিগত ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর তৎকালীন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী শেরপুর সদর উপজেলার দুঃখ হিসেবে খ্যাত প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পুন:নির্মানের জন্য পরিদর্শনে এলে ইলিয়াছ উদ্দিনের নেতৃত্বে মন্ত্রীর গাড়ীর বহরে হামলা চালানো হয়। ফলে ওই বাঁধ নির্মানের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১শ ১২ কোটি টাকাও ফেরত যায়। এসবের পরেও তিনি নানা অজুহাতে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে মামলা খারিজ হওয়ায় তার ওইসব ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়েছে।
তিনি নির্বাচন বানচাল করার ওইসব মামলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু আইনী লড়াই করেছেন এবং ছানুই সদর উপজেলার জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছেন উল্লেখ করে বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছানু ছাড়া অন্য কারও ভোট পাওয়ার অধিকার নেই। সেটা ইলিয়াছই হোক কিংবা বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীই হোক।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু, ও পৌর মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমান বক্তব্য রাখেন। হুইপ আতিক তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু, ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ হাসান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগমকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত তুলে সমর্থনের আহবান জানালে সবাই হাত তুলে সাড়া দেন। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মিনহাজ উদ্দিন মিনালসহ আব্দুল খালেক, ফকরুল মজিদ খোকন, এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু, নাজিমুল হক নাজিম, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, আসাদুজ্জামান রওশন, বশিরুল ইসলাম শেলু, এডভোকেট আবুল কাশেম, প্রকাশ দত্ত, সামছুন্নাহার কামাল, হাবিবুর রহমান হাবিব, নজরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
