মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে মাসব্যাপী ভয়াবহ লোডশেডিং ও কিছু অংশে লোভোল্টেজের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত এবং বিদ্যুতের অভাবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে। মধুখালী আবাসিক বিদ্যুত সরবরাহ অফিস প্রতিদিনই ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়ার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্ব মোট ৪ থেকে ৫ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, পারিবারিক, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা কোনটাই ঠিকমত করতে পারছে না। এ ছাড়াও যে টুকুও সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তার মধ্যে ঘন ঘন যাওয়া আসা করে। এই ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া এবং লোভোল্টেজ এর কারণে জনগনের ব্যবহায্য ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল বিকল হয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ওজোপাডিকোর মধুখালী উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মো.আব্দুল মালেক জানান, ফরিদপুর গ্রীডের ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুত পাই। মধুখালী উপজেলায় মোট ৯ হাজার ৯০০ বৈধ বিদ্যুত গ্রাহক রয়েছে। যার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৬.৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রতিদিন ৩.২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। আবার সাডেন ফ্রিকুয়েন্সির কারনে ঢাকা সেন্ট্রাল গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ লাইন হঠাৎ বন্ধ করার জন্য সেটি মধুখালী বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর বর্তায়। তিনি আরো জানান, মধুখালী বিদ্যুৎ অফিসে জনবলের অভাব থাকায় লাইনের সংস্কার ও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফরিদপুর জেলা গ্রীডে ৯০ গোওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও আমরা পাই মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর রাতের বেলায় ফরিদপুরে চাহিদা থাখে ১১০ মেগাওয়াট। পিক আওয়ারে প্রাপ্ত ৪০ মে. বিদ্যুৎ থেকে রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই তিন ভাগে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ দিকে ঢাকা সেন্ট্রাল গ্রীড বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রন করায় লোড বেশী থাকলে একমাত্র মধুখালীর বিদ্যুৎ লাইন সরাসরী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। জনমনে প্রশ্ন ঢাকা সেন্ট্রাল গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করা হলে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মধ্যে একমাত্র মধুখালী বিদ্যুৎ সরবরাহের উপরেই কনে সেটা বর্তাবে ????
ভুগতো ভোগী গ্রাহকেরা লোডশেডিং এর অতিষ্ঠিত হয়ে প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য মধুখালী বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে ফোন দিলে অধিকাংশ সময়ই ফোন রিসিভ করা হয় না । কদাচিৎ ফোন ধরলেও কোন সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়। এদিকে মধুখালীতে বিদ্যুতের সংকট থাকলেও ওজোপাডিকোর মধুখালীর আবাসিক প্রকৌশলী প্রতিনিয়তই নতুন নতুন বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও অধিক টাকার বিনিময়ে নিয়ম বর্হিভ’ত অনেক দূরে তার টেনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মধুখালীতে বিপুল পরিমান অবৈধ বিদ্যুত লাইন রয়েছে বলে স্থানীয় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে অধিক পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও মধুখালীতে বিভিন্ন অজুহাতে বিতরনের অব্যাবস্থাপনার কারনে বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা একাধারে ভোগান্তির শিকার অপরদিকে সরকারের ভাবমুর্তিও দারুন ভাবে খুন্ন হচ্ছে ।
মধুখালীতে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মধুখালী উপজেলার রাযপুর ইউনিয়নের ভাটি-গোপালদী গ্রামের হৃতদরিদ্র পিতা ওবায়দুর বিশ্বাসের ভারসাম্যহীন কিশোরী কন্যা নার্গিস (১২) বাড়ীর পাশে বাগানের গাছে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে তার আত্বীয় স্বজনেরা। ওবায়দুর রহমানের ৪ কন্যা, ২ পুত্রের মধ্যে নার্গিস ২য় । সে জন্ম থেকেই ভারসাম্যহীন ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, নার্গিস গত শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। তাকে খোজাখুজির করে না পেয়ে মাইকে প্রচার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে নার্গিসের পিতা ওবায়দুর বাগানের ভিতর দিয়ে আসার সময় লাশ পোচা গন্ধ পেয়ে গাছের মগডালে নিজের উড়না দিয়ে গলায় পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
