ads

বুধবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় : যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪ ৮:৫০ অপরাহ্ণ

Durgapur College Pictureএস.এম রফিক,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বাধিক মুক্তিযোদ্ধা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দাবাসী অংশ নিয়েছে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনস্বার্থে জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছে একটি মহল বলে আসছে আওয়ামীলীগকে ভোট দিলে ভারত হয়ে যাবে দেশ। কিন্ত না তিনবার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশ ভারত হয়নি। মন্ত্রী আরো বলেন দুর্গাপুরকে আলোকিত একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে এলাকাবাসীকে উপহার দেওয়া হবে বর্তমান সরকারের সময়েই। যুব ও ক্রীড়া উপ-ম›ত্রী আরিফ খান জয় এমপি মঙ্গলবার সুসং কলেজ আয়োজিত দুর্গাপুর অডিটরিয়ামে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দেন।
সুসং কলেজ অধ্যক্ষ ড.ভবানী সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস,দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদুল হক খান,নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,অফিসার ইন-চার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম খান,ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার,শিক্ষার্থী মৈত্রী সাহা প্রমুখ। এর আগে সুসং কলেজের ৮৭৪ জন নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয় এবং কলেজের পক্ষ থেকে প্রকাশিত স্মরনিকা “পিদিম” এর মড়ক উম্মোাচন করেণ মন্ত্রী। উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন সুসং কলেজে বর্তমানে ৩৬১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এতে শ্রেনী কক্ষ সহ লাইব্রেরী,কম্পিউটার,বিজ্ঞানাগার অপ্রতুল রয়েছে। এতসব অভাব থাকার পরও মন্ত্রীর কাছ থেকে কোন প্রকার আস্বাস গ্রহন করতে পারেননি সুসং কলেজ পরিবার। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটে।

Shamol Bangla Ads

 

দুর্গাপুরের পোষ্ট মাস্টার গ্রেফতার : ভারতে পাড়ি জমানো নিঃস্ফল

Shamol Bangla Ads

দুর্গাপুরের পোষ্ট মাস্টার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার ২৩ দিনের মাথায় ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র হাতে স্ত্রী সহ ধরা পড়েন।
দুর্গাপুর থানা অফিসার ইন-চার্জ রেজাউল ইসলাম খান জানান তিনি উধাও হওয়ার পর বাংলাদেশেই পালিয়ে বেড়াতে ছিলেন গত ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ভারতে পারি জমাবার সময় সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী ভূমরা এলাকায় বিজিবি’র হাতে স্ত্রী সহ ধরা পরেন তিনি। সে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার কলাপাটুয়া গ্রামের মৃত-ফাহাজ উদ্দিন মৃধার পুত্র। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা উপ-বিভাগ পরিদর্শক এস.এম আনিসুল হক ভূইয়া বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেণ যাহার নং ০৫ তারিখ ৮/৯/১৪ ইং।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা পোষ্ট মাস্টার মোঃ মোর্শেদ মৃধা সরকারি ও গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা, সঞ্চয়পত্র জমা ও উত্তোলনের ভূয়া রশিদ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। অফিস সূত্রে জানা যায়, পোষ্ট মাষ্টার সরকারি রক্ষিত কোষাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প ও পোষ্টাল অর্ডারসহ নগদ প্রায় ১১’লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন স্কিমের জমাদানকারীদের সাদা কাগজে রশিদ দিয়ে প্রায় ৫০’লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। প্রায় ৫৯ বছর বয়সী এই পোষ্ট মাষ্টার ২০১২ সালে এখানে যোগদান করে খুব ছুফি ও নামাজি লোক বলে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেন। ১৭আগষ্ট তিনি কোন ছুটি বা অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থল ত্যাগ করেন, ১৮ আগষ্ট সারাদিন অফিসে অনুপস্থিত থাকায় পোষ্ট মাষ্টারকে খুজতে থাকেন অন্যান্য কর্মচারীরা, বিভিন্ন যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে হতাশ হয়ে যান তারা। ডাক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘটনাটি অবহিত করলে নেত্রকোণা পোষ্ট অফিস পরিদর্শক এ.এস.এম আনিসুল হক ভুইয়া পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা মিললে ময়মনসিংহ বিভাগের পোষ্ট অফিস সুপার স্বপন কুমার ভৌমিককে অবহিত করেন। ঘটনাটি পরে জোরেসোরে পোষ্ট মাষ্টার মোর্শেদ মৃধার আত্মীয় স্বজন সহ যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে গত ২৪ আগষ্ট দুর্গাপুর থানায় নেত্রকোণার পোষ্ট অফিস পরিদর্শক এ.এস.এম আনিসুল হক ভূইয়া আবেদনকারী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ৮৫০। পরে ১ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ফাহাদ পারভেজ বসুনিয়া, পোষ্ট অফিস সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার ভৌমিক, পরিদর্শক এ.এস.এম আনিসুল হক সহ অফিসে রক্ষিত কোষাগারের সিন্ধুকের তালা ভেঙ্গে তল্লাশি শেষে জানান যে, মূল্যবান কাগজপত্র, সঞ্চয়পত্র, স্ট্যাম্প ও গ্রাহকদের কোন বই পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ অঞ্চলের পোষ্ট অফিস সুপার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তাদের সরকারি হিসাবমতে পোষ্টাল অর্ডার, স্ট্যাম্প ও নগদ অর্থসহ ১০ লাখ ২৯ হাজার ৩ শত ৫৪ টাকার হদিস মিলছে না। তবে বিভিন্ন গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, সাদা কাগজে ভূয়া রশিদের মাধ্যমে অন্তত: ৫০ লাখের অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আমানতকারীরা সাদা কাগজের রশিদ নিয়ে ভীর জমাচ্ছেন পোষ্ট অফিস চত্তরে। গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায় পৌর এলাকার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা সলিল কুমার গুপ্ত (অজিত)কে ২ লাখ টাকার পেনশন সঞ্চয়পত্র নং ০১৩২৪৮১, তাং ১৮/০৮/২০১৩,জমা রেখে সাদা কাগজে দস্তখত দিয়ে একটি রশিদ ধরিয়ে দেন। সুফল সরকার,পিতা-রতন সরকার, সাধুপাড়া তার নিকট হতে ১ লক্ষ টাকা বুঝে পেয়ে ০৮/০৪/২০১৪ তারিখে একটি সাদা কাগজে রশিদ দেন। পৌরসভার শিবগঞ্জের বাসিন্দা কহিনুর মিয়া ২০/০৪/২০১৪ তারিখ ৫০ হাজার টাকা ও রোমেনা বেগমকে একই তারিখে সাদা কাগজে ৫০ হাজার টাকার রশিদ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা গেছে। পোষ্ট অফিস সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, সাদা কাগজের টাকার রশিদ দেখে মনে হয় ব্যক্তিগত লেনদেন হয়েছে। মোর্শেদ মৃধা গ্রেফতারের খবর পেয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সস্থির নিঃস্বাস ফেলছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!