ads

রবিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কেশবপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার জমিতে পৌর মার্কেট করার অভিযোগ : পরিবারটি দিশেহারা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

Jessoreকেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুর শহরের পুরাতন গরু হাটের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের পরিবারের জায়গা দখল করে পৌরসভার পক্ষে মার্কেট নির্মাণের সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয়ায় ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সরকারের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘ ১ যুগ ধরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে বিচারের আশায় প্রশাসনসহ সমাজপতিদের দারে ঘুরে ফিরেছেন।
জানাগেছে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের পিতা ইব্রাহিম বিশ্বাস ১৯৪৪ সালে তৎকালিন জমিদার তারাপ্রশাসদের কাছ থেকে ২০৩৪ নং দলিল মূলে কেশবপুর মৌজার সাবেক ২৭১ দাগের ৩৫ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমির এক অংশে ছিল গরু হাট এবং অপর অংশে ছিল তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ভিটা। ১৯৭২ সালে সরকার গো হাটটি আয়ত্তে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। সরকারের গেজেটের বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের পক্ষে যশোর সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। যার নং- ১৮০/১৫। দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত ১৯৯৬ সালে সরকারের গেজেটের বিরুদ্ধে সকল কার্যক্রম বদ্ধের আদেশ দিয়ে জমির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সরকার এ আদেশের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন আপিল করেনি বলে শহীদ পরিবারের অভিযোগ। ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশ অমান্য করে সরকারের পক্ষে হাট কর্তৃপক্ষ গোহাটটি দখল করে নিলে শহীদ পরিবারের পক্ষে হাটটি স্থানান্তরের দাবিতে জেলা প্রশাসককের কাছে অভিযোগ করা হয়। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোহাটটি কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়কের কলেজ পাড়ায় স্থানান্তর করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবার ওই জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ভিটা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। জমির একটি অংশে শহীদ দৌলত বিশ্বাসের নামে স্মৃতি সংসদের ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়। সেখানে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাসহ গনমানুষের যাতায়াত ছিল। শহীদ পরিবার ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে বসবাস করাকালিন সময়ে বিএনপি নেতা ও তৎকালিন ৬নং কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বিশ্বাস মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ১৯৯৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদেশটি বাতিল করেন। ২০০২ সালে কেশবপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহীদ পরিবারের নামে জমির রেকর্ড কেটে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের খাস খতিয়ান ভূক্ত করেন। ২০০২ সালে রাতের আধারে একটি মহল শহীদ দৌলত বিশ্বাস স্মৃতি সংসদের ঘরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ ঘরটি ভেঙ্গে দিয়ে জবর দখল করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় শহীদ পরিবারের পক্ষে যশোর সাব জর্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ৮১/০২। মামলাটি বর্তমান বিচারাধিন রয়েছে। সম্প্রতি পৌরসভার মেয়র ওই জমিতে বহুতল ভবন নির্মানের নকশা সংম্বলিত সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোপূর্ব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নালিশি জমি ফেরত অথবা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৪ বার আবেদন করেও কোন ফল না পেয়ে অবশেষে সরকারি অনুদানসহ সকল সুযোগ-সুবিধা ও শহীদ দৌলত বিশ্বাসের নামে কেশবপুর শহরের যে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তা পরিবর্তনের দাবী জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে কেশবপুর পৌর সভার মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বলেন উল্লেখিত জমি কখনো শহীদ দৌলত বিশ্বাস পরিবারের ছিল না। মাঝখানে একটি মহল চক্রান্ত করে তাদের নামে করার চেষ্টা করেছিল।
এব্যাপারে কেশবপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোমেন মজুমদার জানান, নতুন ভাবে শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পক্ষে কোন রায়ের কপি না থাকায় পৌরসভার পক্ষে মার্কেট করা বৈধ বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!