ads

শুক্রবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে আদমদীঘির স্কুলছাত্রী রুমাকে হত্যা করে নিজ বাবা-চাচা ও দাদী

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ

adamdighi- 05-09-14-আদমদীঘি ও বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির আলোচিত স্কুল ছাত্রী রুমা বানু হত্যা রহস্য অবশেষে পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিপক্ষ ফাঁসাতেই সৎ মা ভাই মিলে নিজ মেয়ে রুমা বানুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজ পিতা আব্দুল ওহাব ওরফে বড়বাবু নামক মানুষ রুপি পাষন্ড পিতা। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আদালতে রুমা হত্যার লোমহর্ষক কাহিনী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ও সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ননা দেন নিহত রুমার পাষন্ড বাবা চাচা ও সৎ দাদী।

Shamol Bangla Ads

থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেম উদ্দীন জানান, বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিহত রুমার পিতা আব্দুল ওহাব বড়বাবু মেয়ে হত্যার লোম হর্ষক এই কাহিনী বর্ননা করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, গ্রামের প্রতিপক্ষ রহমান সাইদুল সহ অন্যান্যদের সাথে তাদের দীর্ঘ দিন যাবত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। ওই প্রতিপক্ষদের ঘায়ের ও ফাঁসাতে তার ভাই রবিউল, জোনায়েদ, ছায়ফুল, সৎ মা ফেরেজা ও ভগ্নিপতি হাসান সহ ৬ জন মিলে পরিকল্পনা করে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ মেয়ের ঘরে ঢুকে কেউ হাত কেউ পা কেউ মুখ ও বাবা নিজেই মাথা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে আদমদীঘির গাল্স স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সুদিন গ্রামের আব্দুল ওহাব বড় বাবুরর মেয়ে রুমা বানুর শয়ন ঘরে ঢুকে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত রুমা বানুর পিতা বাদী হয়ে পরদিন সোমবার রাতে এজাহারে কোন আসামীর নাম উল্লেখ না করে আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ হত্যার মোটিভ খুঁজতে থাকে এক পর্যায়ে গত শুক্রবার মামলার বাদী আব্দুল ওহাব ওরফে বড়বাবু, নিহতের সৎ দাদী ফেরেজা, চাচা রবিউল, ছায়ফুল জোবায়েদ ওরফে ছোটবাবু, ও ফুপা বিনসাড়া গ্রামের হাসানকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে হত্যার লোম হর্ষক কাহিনী বর্ননা করেন পাষন্ড পিতা আব্দুল ওহাব। গতকাল শুক্রবার ৬ আসামীকে বগুড়া আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালতে নিহতের বাবা সৎ মা ও চাচা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই দুলাল হোসেন জানান।

আদমদীঘি থানার ওসির কৃতিত্বে এলাকায় আলোড়ন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি থানায় একের পর এক শিশু অপহরন করে হত্যার প্রবনতা বৃদ্ধির কারনে নিরাপত্তার অভাবে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের একা বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পান। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে সুদিন গ্রামে মেধাবী স্কুল ছাত্রী রুমা বানুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা উপজেলাবাসিকে বিচলিত ও পুলিশ প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলে। এদিকে মাত্র ৪দিনের ব্যবধানে ওসির ক্রেুালেছ এই হত্যাকান্ডে মুল রহস্য উদঘাটনে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আদমদীঘি গাল্স স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী স্কুল ছাত্রী রুমা বানুকে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে শয়ন ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ক্রেুালেছ হত্যাকান্ডে পর থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেম উদ্দীনের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তাগন ত্রেুালেছ এই হত্যার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে ব্যাপক তৎপরতা সহ অনুসন্ধান চালাতে শুরু করেন। বিভিন্ন সুত্র ধরে প্রথমে নিহতের সৎ দাদী ফেরেজা ও চাচা জোবায়েদ ওরফে ছোট বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। এরপর তাদের ছাড়াতে নিহতের পিতা থানায় তদবির সহ নানা কৌশল গ্রহন করায় পুলিশের আরও সন্দেহ দানা বাধে। ওসি মোসলেম উদ্দীন জানান গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে ফেরেজা ও তার ছেলে জোবায়েদ রুমাকে স্বাশরোধে হত্যার লোম হর্ষক কাহিনী বর্ননা করে। অবিশাষ্য হলেও সত্য যে নিজ পিতা তার মেয়েকে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহতের পিতা আব্দুল ওহাব ওরফে বড়বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার নিজ মেয়ে রুমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পুরো লোম হর্ষক কাহিনী বর্ননা সহ এই হত্যা মিশনে যারা অংশ গ্রহন করে তাদের নামও প্রকাশ করে। নিহতের মায়ের ঘর সহ অপর ভাইদের ঘরের দরজায় সাজানো শিকল তুলে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয় বলে জানান। অল্প সময়ে ত্রেুালেছ এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেম উদ্দীনের বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্ঠি করেছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!