দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আজম (২০) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি ভেটুলতলা মাঠ থেকে হাত-পা বেঁধে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে আড়িয়া গ্রামের এজের আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বপন (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড়গাংদিয়া বাজারে আজমের ইলেকট্রিকের দোকান আছে। প্রতিদিনের ন্যায় আজম বৃহস্পতিবার দোকানে যাওয়ার পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ধারণা করা হচ্ছে দূবৃর্ত্তরা বৃহস্পতিবার রাতে আজম কে অপহরনের পর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে তার লাশ মাটি চাপা দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা মাঠের মধ্যে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার লাশের সন্ধান পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামূল হক বলেন, সুদের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্র“তার জের ধরে আজমকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্বপন (৩৫) নামে একজনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের পক্ষে আওয়ামীলীগ নেতার অবস্থান

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের পক্ষে আবারও অবস্থান নিলেন আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল হালসানা। শুক্রবার সকালে উপজেলার মহিষকুন্ডি বাজারে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসীর গ্রাম ছাড়ার বিষয়ে আলোচনায় বসলে ওই নেতা সন্ত্রাসীদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন। এলাকবাসী জানান, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামে সন্ত্রাসী আরিফ বাহিনীর ভয়ে ও তাদের হুমকিতে দেড়শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রামের লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে শুক্রবার এলাকার মন্ডল-মাতব্বর ও সুধীজন সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেন। আলোচনাকালে কিভাবে বিষয়টি নিরসন করা যায় এবং ওই গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় প্রাগপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল হালসানা সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, তারা ওই গ্রামেরই মানুষ। তারা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। কেউ যদি গ্রাম ছেড়ে চলে যায় সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আওয়ামীলীগ নেতার এমন মন্তব্যে উপস্থিত সকলে বিষ্মিত হোন। সভায় উপস্থিত থাকা লেলিন নামে এক ব্যক্তি জামালপুর গ্রামের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আরিফের সাথে মোবাইলফোনে কথা বললে সন্ত্রাসী আরিফ জানায়, ‘শহিদুল হালসানা তাদের প্রতিনিধি, উনি যা বলবেন বা করবেন সেটাই হবে’। মোবাইলফোনে এমন কথা শোনা ও আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল হালসানার মন্তব্যের পর সভা মুলতবি হয়ে যায়। সভায় উপস্থিত থাকা প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম গেদু জানান, জামালপুর গ্রামের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকার মন্ডল-মাতব্বর ও সুধীজনদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা মুলতবি করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে আবারও বসা হবে। তবে সন্ত্রাসীদের পক্ষে শহিদুল হালসানার অবস্থানের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল হালসানা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই এবং তারা আমার বংশেরও কেউ না। সুতরাং তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি সঠিক না। উল্লেখ্য জামালপুর গ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বাহিনী প্রধান আরিফের অব্যাহত হুমকি ও চাঁদার দাবিতে ওই গ্রামের দেড়শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে মহিষকুন্ডিসহ বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।
