মো: আব্দুর রহমান, বাকৃবি প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সফল অণুজীব গবেষকের নাম অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান। অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান বাকৃবির সাবেক প্রক্টর। বর্তমানে তিনি বাকৃবির ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগে কর্মরত আছেন।
অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান দেশের একজন খ্যাতনামা ভেটেরিনারি অণুজীব গবেষক। কর্মজীবনে গবেষণা ক্ষেত্রে পেয়েছেন নানান সাফল্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুরগির কয়েকটি জটিল রোগের প্রতিষেধক টিকা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষক দলের অন্যতম তিনি।
অধ্যাপক ড. খান বাকৃবির প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রির ভ্যাকসিন উৎপাদন ও গবেষণা সেন্টারের প্রধান গবেষক। এ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত মুরগির মারাত্মক দুটি রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা হয়েছে। মুরগির রোগ দুটি হলো কলেরা ও স্যালমোনিলা। প্রতিষেধক দুটি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে; যার গুণগতমান দেশে প্রচলিত অন্যান্য প্রতিষেধক ভ্যাকসিন থেকে ভালো এবং বাজারমূল্যও অনেক কম।
এ ছাড়া বর্তমানে অধ্যাপক ড. খান মুরগির আরেকটি মারাত্মক রোগ ইনফেকশাস কোরাইজার প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় বার্ড ফ্লু বিষয়ে ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে কাজ করেছেন দেশের একমাত্র টিকা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এলআরআই) বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রকল্পের অন্যতম গবেষক হিসেবে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা কাজ ও সফলতার ওপর তার প্রায় ৮১টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বায়োটেকনোলজি ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন। রয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেলে।
নিজের গবেষণা সফলতা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. খান বলেল, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি যতটুকু সময় পাওয়া যায় ততটুকু সময় ব্যয় করি গবেষণা কাজে। নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন করার নেশা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। আমি আমার বাকি জীবন গবেষণায় কাটাতে চাই’।
