ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ছাতকের পল্লীতে ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ১০ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নোয়ারাই ইউনিয়নের দক্ষিণ কুপিয়া গ্রামের শুকুর উল্লাহ ও জমির আলী পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শুকুর উল্লাহ ও জমির আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিকেলে বিরোধকৃত ডোবায় জমির আলী মাছ মারতে গেলে শুকুর উল্লাহ এতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মহিলাসহ ১০ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত ওয়াসিম আলী (১৯), লতিফ আলী (৪৫), রেহেনা আক্তার (৪০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাজেরা বেগম (৩০), মোহাম্মদ আলী (৬০), সাইফুল ইসলাম (১৮)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ছাতকে মহিলার উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়
ছাতকে দিলারা বেগমের উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আত্মঘাতি বলে মনে করছে। প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন ধারনাই করছেন স্থানীয়রা। এসিড দগ্ধ দিলারা বেগম বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। সে পৌর শহরের বাগবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। জানা যায়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ’র পুত্র আব্দুল কাহার অনুর সাথে দিলারা বেগমের বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর জের ধরে গত ২৬আগষ্ট দিলারা বেগমের ৩পুত্র সশস্ত্র অবস্থায় আব্দুল কাহার অনুর বসতগৃহে হামলা চালায়। এতে অনু’র দু’ভাই আব্দুল মালেক (৩২) ও এটিএম তারেক (২৮) গুরুতর আহত হলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আব্দুল কাহার অনু বাদী হয়ে ওইদিন দিলারার পুত্র অমিত, অনিক ও নোবেলকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-৩০) দায়ের করেন। সন্ধ্যায় এসআই আহমেদ মঞ্জুর মুর্শেদ, পৌর কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী, জসিম উদ্দিন সুমেনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিলারা বেগম ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলনা। কিন্তু রাতে দিলারা বেগম ওসমানী মেডিকেলের বার্ন ইউনিটি ভর্তি হয়েছেন এসিড দগ্ধ হয়ে। প্রতিপক্ষ এটিএম তারেকের ছোড়া এসিডে দিলারা বাম উরু ঝলসে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে দিলারা বেগমকে দেখে মনে হয়, ঘটনাটি এসিড নিক্ষেপ নয়- তার উরুতে কেউ এসিড বা এসিড জাতীয় তরল পদার্থ ঢেলে দিয়েছে। এদিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আশপাশের লোকজন কেউ এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেনি। জসিম উদ্দিন সুমেন জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থ্য অবস্থায় দিলারা বেগমকে বাড়িতে দেখা গেছে। প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ছাতক থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ন সাজানো। প্রতিপক্ষকে ফাসানোর চেষ্টায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ছাতকে সিরাজুল ইসলাম ফারুকী’র বিদায় সংবর্ধনা
ছাতকে বাংলাদেশ জমিয়তুল মুদারেছীন’র সাবেক উপজেলা সভাপতি ও বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী’র পবিত্র হজ্বে গমন উপলক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে জালালিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও জমিয়তুল মুদারেছীনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিদায়ী অতিথি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা নোমান আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। মানপত্র পাঠ করেন মাওলানা শফিক উদ্দিন। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। সভায় মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকীকে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
