দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি
সাখাওয়াত হোসেন লাবু, রংপুর : পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ১০ মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা রংপুর নগরী। এর মধ্যদিয়ে গ্যাসের দাবিতে বৃহত্তর রংপুর গ্যাস আন্দোলন কমিটির আন্দোলনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটা ১১টা বাজার সাথে সাথে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেলে, চায়ের দোকানে, রিকসা-অটোরিকসা, যানবাহন যে যেখানেই অবস্থান করছিল ঠিক সেখানেই থমকে যায়। চলে না আর হাত, হয় না কোন কাজ। ঘুরে না আর গাড়ির চাকা। বাজে না হুইসেল। স্তব্ধ হয়ে পড়ে নগরীও। এই সুনশান নিরবতা চলে ১০ মিনিট ধরে। বৃহত্তর রংপুর গ্যাস আন্দোলন কমিটির ডাকে আজ সকাল ১১টা থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এই স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, ডাক্তার, আইনজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। স্তব্ধ কর্মসূচি শুরুর আগে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর রংপুর গ্যাস আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক মীর আনিসুল হক পেয়ারা, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রংপুর জেলা আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এমএ বাশার টিপু, রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ জুন্নুন, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম ফজলুল হক, রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক ও রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন লাভলু, শ.ম আমজাদ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এ) নেতা আব্দুল লতিফ খান, সমাজ কর্মী একেএম ফাইজুল কবির লিটন প্রমুখ। মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, রংপুর বিভাগ হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন হয়েছে। নাগরিক সেবার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান। এখন রংপুরবাসীর প্রাণের দাবি পাইপ লাইনের মাধ্যমে রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা। রাজশাহী, খুলনা ও বগুড়াসহ সারাদেশে অনেক স্থানে গ্যাস দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পুত্র তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরে গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা হলে তার নামকরণ করা হবে ‘জয় গ্যাস’। কিন্তু রংপুরবাসীর সাথেই বিমাতা সূলভ আচরণ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সরু পাইপ লাইন। এ কারণে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে না। শুধু আঞ্চলিক বৈষম্য রাখতেই এমন মিথ্যা অজুহাত দিয়ে রংপুরের সহজ-সরল মানুষদের প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। গ্যাস না থাকায় রংপুরের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। বেকারত্ব বাড়ছে। উদ্যোক্তা থাকলেও গ্যাসের কারণে এখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে রংপুরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান। অন্যথায় গনঅনশন ও মহাসমাবেশের পরও দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
