ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল ও শাক-সব্জির আবাদ করে সংসার চালাচ্ছে বহু নারীরা। তবে পুরুষরাও বসে নেই উৎপাদিত সবজি ও ফসল বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জণ করছেন তারা। তা দিয়েই ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ তাদের সংসারের সকল খরচ চলছে। সবজি ও ফসল ক্ষেতে পানি দেয়া, আগাছা বাঁছাই, পরিচর্যা, ফসল কাটাসহ অধিকাংশ কাজই এখন নারীরা করছেন। উপজেলার সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি ও ফসল উৎপাদন হয় শুক্তাগড় ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের এমনই একটি গ্রামের নাম সাংগর। এ গ্রামের পুরুষের চেয়ে নারীরা ক্ষেত-খামারে বেশি কাজ করেন। সাংগর গ্রামের কৃষাণী হাসিনা বেগম, ঝুমুর বেগম, মনোয়ারা ও নুপুর বেগম বললেন এমনটাই। হাসিনা বেগম বলেন, তিনি ১৬৫ শতাংশ পতিত জমির মাটি কেটে পাইকা ও মাচান তৈরি করে চাল কুমড়া, হাইব্রীড লাউ, বটবটি, লাউ শাক, চিচিংগা, জিংগা, পেপে গাছ, কলাগাছসহ বিভিন্ন সবজি, ফল ও ফসলের গাছ রোপন করেছেন। এতে তাদের অর্ধ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত লাউ, লাউয়ের শাক, বিভিন্ন সবজি ও ফল বিক্রি করে প্রয় দেড়লক্ষ টাকা আয় করেছেন তারা। এ দিয়েই তাদের সংসার চলছে। এ রকম ওই গ্রামের অনেক নারীরাই সবজির ক্ষেত দিয়েই সংসার চালাচ্ছেন। আরও এসব সবজি ক্ষেত তৈরির জন্য উৎসাহ দিচ্ছে ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বিভাগ। ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি উপজেলা ম্যানেজার আল আমিন ও মাঠ পরিদর্শক নাহিদুজ্জামান জানান, এ কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ৭ একর জমির ৪২ জন কৃষক-কৃষাণীকে বিভিন্ন হাইব্রীড সবজি ও ফসলের বীজ, সার, বেড়া ও কীটনাশকের জন্য বিঘাপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
