পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে খালাশপীর দারুল হুদা ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার সাবেক সভাপতি উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসে কর্মরত কর্মচারী ডা: আনিছার রহমান কর্তৃক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে নিজেকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়ায় ঘটনায় গতকাল সোমবার পীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
সাধারন ডায়েরী মতে জানা গেছে, গত ৬ মার্চ পীরগঞ্জের জাতীয় সংসদ সদস্য , ও মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর ডিও লেটার ১১.০০.০০০০.০০১.২৪.০১১.১৪-২৮ স্মারক নং পত্রে ডা: মো: আনিছার রহমানকে সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের নিকট প্রস্তাব করিয়েছেন এবং ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ রাখিয়েছেন এবং আমি অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহার সাথে একমত পোষন করিয়া ডা: আনিছুর রহমানকে সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রদান করিয়াছেন। অথচ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক এ ধরনের কোন চিঠি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার বরাবরে দেননি মর্মে গতকাল সোমবার পীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-২৭. উল্লেখ্য সরকারি চাকরী বাদ দিয়ে গত কয়েক মাস যাবৎ সভাপতি হবার জন্য আদাজল খেয়ে ঢাকায় পরে আছে শীর্ষক একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এরপর ডা: আনিছার রহমান নতুন ফন্দি আটে। সংসদ সদস্য ও মাননীয় স্পীকারের স্মারক ১১.০০.০০০০.০০১.২৪.০১১.১৪-২৮ দিয়ে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হকের স্বাক্ষর জাল করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের বরাবরে ওই মাদ্রাসার একটি স্মারক নং- খা/মা/প/৩/১৪ নং দিয়ে একটি পত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরবি প্রভাষক শামসুল হক জানতে পেরে আশ্চর্য হয়ে যান। অথচ ২৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে আব্দুল ওয়াহেদ কে অধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় মাদ্রাসায় বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী ওই প্রানী সম্পদের কর্মচারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আনিছার ডাক্তার আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টি করতে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান- ভাই আমি গত ২৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে আমার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছেড়ে দেই, অথচ ৩ মার্চ তারিখে আমার স্বাক্ষর জাল করে ডা: আনিছার রহমান এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।
