চারঘাট প্রতিনিধিঃ চ্যানেল আই এর উপস্থাপক ও ইসলামী ফ্রন্ট নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকীর খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বাংলাদেশ ইসলামে ছাত্রসেনা ডাকা আধা বেলা হরতাল চারঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। কোথায় কোন পিকেটিং এর খবর পাওয়া যায়নি। দুরপালার যান চলাচল ব্যাতিত অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট খোলা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে।
চারঘাটে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে ইউএনও এর অসন্তোষ প্রকাশ

চারঘাটে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন শিক্ষকদের কর্মস্থলে উপস্থিতি না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন চারঘাট উপজেলার ইউএনও রাসেল সাবরিন। গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় মুংলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন প্রধান শিক্ষিকা রহিমা খাতুন অনুপস্থিত। এ সময় চারঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতিমা প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অবগত করা হয়েছে, আমি অসুস্থতার কারণে স্কুলে যেতে পারি নাই। শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। শিক্ষদের হাজিরা খাতা তার দপ্তরে হাজির করার নির্দেশ দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে বুধিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, অনুপমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুংলী দারুস সূন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, মুংলী-অনুপমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ও ভায়ালক্ষীপুর কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ হন। প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগতি ও ছাত্রছাত্রীদের গুরুত্ব সহকারে শিক্ষা দান আদেশ দেন।
পোকড়া পেয়ারও ফেলনা নয়

পোকায় খাওয়া পেয়ারাও ফেলনা নয়। খাবার হিসেবে না হলেও বীজ হিসেবে পোকায় খাওয়া নষ্ট পেয়ারার কদর রয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ নার্সারীতে পোকায় খাওয়া নষ্ট পেয়ারা থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরী করা হচ্ছে। এভাবে তৈরী চারার মানও খারাপ নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক হেক্টর জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে পেয়ারা চাষ হয়। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে কখনও কখনও পেয়ারায় ফলের মাছির (ফ্রুট ফ্লাই) আক্রমন হয়। এরফলে পোকায় আক্রান্ত পেয়ারা নষ্ট হয়ে যায়। এসব নষ্ট পেয়ারা নার্সারীর মালিকরা ২শ থেকে ৪শ টাকা মন দরে কিনে নিয়ে তা থেকে বীজ সংগ্রহ করে। উক্ত বীজ হালকা শুকিয়ে নিয়ে তা দিয়ে বীজতলা তৈরী করা হয়। এভাবে তৈরী প্রতিটি চারা ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও বিক্রি হয়। উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের নার্সরীর মালিক খোরশেদ ও রবিউল জানায়, নামমাত্র মূল্যে বীজ পাওয়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে চারা সরবরাহ করা সম্ভব হয়। এতে নার্সরীর মালিক এবং পেয়ারা চাষী উভয়েই লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মনজুরে মাওলা জানান, পোকায় আক্রান্ত পেয়ারা থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরী করলে উক্ত চারার গুনগত মান একই থাকে।
