নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলাব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণীর (৫ম শ্রেনী) মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বাংলা বিষয়ে ১০০ নম্বরের স্থলে ৮৫ নম্বরে সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ২.৩০ ঘন্টার এ পরীক্ষাটি সমগ্র উপজেলায় ৩১ আগষ্ট রবিবার সকাল ১০ টায় শুরু হয়।
উপজেলার ৩১ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৮৫ নম্বরের প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষার্থীরা হৈচৈ শুরু করলে সকল মহলে জানাজানি হয়। শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ধামাচাপা দিতে শিক্ষা অফিসের তাৎক্ষনিক নির্দেশে ১৫ নম্বরের একটি রচনা লেখার জন্য মৌখিক ভাবে পরীক্ষার্থীদের বলা হয়। এদিকে সমাপণী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের মানবন্টন অনুযায়ী ১০ নম্বরের প্রবন্ধ রচনা লিখনের কথা থাকলেও ১৫ নম্বরে কেন লিখতে বলা হল এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি শিক্ষা কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আড়াই ঘন্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ডানদিকে পূর্ণমান ১০০ লেখা থাকলেও প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন আছে ৮৫ নম্বরের। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম নাজমুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এরকম কিছু শুনি নাই, এরকম অনেক সময় বোর্ড পরীক্ষাতেও হয়ে থাকে।’ প্রশ্নপত্র প্রেসে প্রদানের পূর্বে খসড়া কপি কে অনুমোদন করেছেন সেটা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, পরীক্ষা সচিব এ.টি.ও শেখর কুমার মিত্র এগুলো জানেন। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে শেখর কুমার মিত্রকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, এতবড় দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ শিক্ষা কর্মকর্তারা কিভাবে করলেন সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। এব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। এই ৩১ টি কেন্দ্রে কি পরিমান পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে সেটা জানার জন্য বার বার শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা সেটা বলতে অস্বীকৃতি জানান। শিক্ষা অফিসার নাজমুল হকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার অফিসে যেতে বলেন এবং খবরটা প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
