চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : পেকুয়ায় এবার যৌতুকের বলি হয়ে স্বামীর হাতে খুন হলেন এক গৃহবধু। দাম্পত্য জীবনে সংসারে যৌতুকের স্বাদ মেটাতে না পেরে স্বামী হতভাগা ওই গৃহবধুকে গলায় গামছা পেঁছিয়ে স্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। ২৫আগষ্ট সোমবার গভীর রাতে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের রব্বাত আলী মাতবরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া গৃহবধুর নাম এস্তাফা আরা বেগম (১৯) তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের সহয়তায় এস্তেফার ঘাতক স্বামী শহিদুল ইসলাম (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, এস্তেফার সাথে গত একবছর পূর্বে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার মৌলভী সামশুল ইসলামের পুত্র শহিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়।
এস্তেফা আরা চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম কোনাখালী এলাকার দিন মুজুর সবির আহামদের মেয়ে। রাজাখালীর সবুজ বাজারে এস্তেফার ভগ্নিপতি সুজাংগীর এর কনফেকশনারী (বেকারী) তে কাজ করতেন ওই শহিদুল।
নিহত গৃহ বধুর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর কিছুদিন স্বামী স্ত্রী সুখের দাম্পত্য শুরু করলেও কয়েক মাস যেতে না যেতে এস্তেফার সংসারের মধ্যে প্রতিনিয়ত যৌতুক দাবীতে স্বামী শহিদুল স্ত্রীর উপর চালাত অমানসিক নির্যাতন। অবশেষে গত সোমবার পুনরায় যৌতুক না পেয়ে পাষন্ড স্বামীর হাতে এস্তেফা খুন হয়।
স্থানীয়রা জানান, শহিদুল এর সাথে অপর এক মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে এস্তেফা ওই পরকিয়ায় বাধাঁ দেওয়ার জের ধরে আগে ও বেশ কয়েকবার দাম্পত্য কলহ দেখা দেয় মন্তব্য করেন। রমজান মাসের মাঝামঝি সময়ে নিহত গৃহবধু এস্তেফাকে ইলেক্ট্রিকের তার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছিল স্বামী।
এবিষয়ে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ব্যাপারে থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পরে বিকেলে গ্রাম পুলিশের ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
এদিকে খবর পেয়ে কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ (এএসপি সার্কেল) মাসুদ আহমদ গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাটানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।
‘চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি’
‘মানুষ কত র্নিলজ্জ ও বেহায়া হলে একটি চরম মানহানিকর ঘটনা সাজাতে পারে! নিজের জন্মদাতা বাবা আমাকে বিক্রি করে এমন ঘটনা সাজাতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারিনা। নিজেই জানিনা এরকম ঘটনা কখন ঘটেছে। চেয়ারম্যান কর্তৃক আমার সঙ্গে ধর্ষনের কোন ঘটনাই ঘটেনি’। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব উজানটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এভাবেই নিজের কথা বর্ণনা করলেন মরিয়ম বেগম (১৩)। গত ১৯আগষ্ট তাকে ধর্ষিতা সাজিয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন তার পিতা নুরুল ইসলাম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় মামলা রুজু করতে পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মরিয়ম বেগম দাবি করেন, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী আমার পালক মা-বাবা। আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমার জন্মদাতা বাবা-মা অভাব অনটনের কারনে চেয়ারম্যানের কাছে কাজের মেয়ে হিসেবে আমাকে রেখে যায়। তখন থেকে আমি তাঁদের কাছেই লালিত পালিত হয়ে আসছি। আমার সকল ভরণ পোষন চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী বহন করে আসছে।
মরিয়ম বেগম সংবাদ সম্মেলনে আদালতের প্রতি সম্মান রেখে বলেন, বিজ্ঞ আদালত আমার জবানবন্ধি গ্রহন না করে কিভাবে মামলাটি থানায় রেকর্ড করতে বলেন ? আমি দ্রুত এ মামলার প্রত্যাহার চাই।
মরিয়ম বেগম দাবি করেন, আমার বাবা হয়তো চেয়ারম্যানের কোন প্রতিপক্ষের ভয়ের মুখে অথবা টাকার লোভে এ ধর্ষন নাটক সাজাতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মরিয়ম বেগমের মা ইউনুছ খাতুন। ইউনুছ খাতুন বলেন, আমার মেয়ে ঘটনার শিকার বানানো হয়েছে। আমি অতিকষ্টে ভিক্ষা করে খাই। আমার স্বামী হয়তো কারও টাকার লোভে অথবা কারও কাছে জিম্মি হয়ে ধর্ষনের মতো ঘটনা সাজিয়ে থাকতে পারে। আমি সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এঘটনার প্রতিকার দাবি করছি।
চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বালু ভর্তি তিনটি পিকআপ আটক, চালক গ্রেপ্তার
চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর জেগে উঠাচর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে বালু ভর্তি তিনটি পিকআপ আটক করেছে আদালত। এসময় পিকআপ গাড়ির তিন চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মাঈন উদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মাঈন উদ্দিন বলেন, মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা সেতু পয়েন্টে জেগে উঠাচর থেকে প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছেন। পিকআপ গাড়ি যোগে বালু পরিবহনের কারনে শহরের বিভিন্ন সড়ক নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে গতকাল সকালে অভিযান চালিয়ে বালু ভর্তি তিনটি পিকআপ গাড়ি আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়ি তিনটির চালককে।
চকরিয়ায় যুবককে হত্যার চেষ্টা
দুইজনকে থানা পুলিশে সোর্পদ
চকরিয়ায় দিনদুপুরে মোহাম্মদ সেলিম নামের এক যুবককে চুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই যুবকের কাছ থেকে লুটে নিয়ে গেছে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট। পরে জনতার সহায়তায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আহত যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট বাজার এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের নুরুল আজমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম ক্যাবল নেটওয়ার্ক (ডিস লাইনের) ব্যবসা করেন। ঘটনারদিন বিকেলে মালুমঘাট বাজারের ভেতর লাইনের কাজ করার সময় একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল, ছৈয়দ আলম, মো.আক্তারুজ্জামান ও বজল করিমের ছেলে মো.ছাদেকের নেতৃত্বে ৪-৫জনের দুর্বৃত্ত তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাঁরা সেলিমকে চুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় আহত ওই যুবকের শোর-চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে ছাদেক ও ছৈয়দ আহমদকে আটক করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শওকত আলীর সহায়তায় পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। ঘটনার পর আহত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত জনতার সহায়তায় আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চকরিয়ায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির
কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
চকরিয়ায় জরিমানার নামে পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পেকুয়ার দক্ষিন মেহেরনামা গ্রামের মৃত হাছান আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ নামের এক কৃষককে মামলায় জড়িয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা টাকা আদায়ের জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ জানান, এলাকায় জমি বর্গা নিয়ে অল্প চাষাবাদ করে তিনি কোন মতে পরিবার সদস্যের ভরণ-পোষণ করে আসছেন। বাড়ির পাশের অনেকে পল্লী বিদ্যুত সমিতির কাছ থেকে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন নিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তিনি বিদ্যুত লাইন নিতে পারেনি। কৃষক নুর মোহাম্মদ অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুত সমিতি পেকুয়া অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ কয়েকদিন আগে দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকায় গিয়ে বিদ্যুত চুরির অভিযোগ এনে চকরিয়া অফিসে নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে লিখিত নালিশ করেন। তিনি গ্রাহক না হলেও চকরিয়া পল্লী বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তারা তার (নুর মোহাম্মদ) নামে এস্টিমিট বিলের অজুহাতে ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। দক্ষিন মেহেরনামা পরিদর্শনের সময় বেলাল উদ্দিন ও আবু তাহের নামের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে স্বাক্ষ্য নেন বলে লিখিত নালিশে পেকুয়া অফিসে কর্মকর্তা আবদুল মজিদ দাবি করলেও দক্ষিন মেহেরনামা গ্রামের মৃত কবির আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন ও মো.ইব্রাহিমের ছেলে আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এরকম কোন স্বাক্ষ্য দেয়নি। মুলত পেকুয়া অফিসের কর্মকর্তা আবদুল মজিদ স্বাক্ষী হিসেবে তার নাম লিখে দিয়েছে। এব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না।
কৃষক নুর মোহাম্মদ অভিযোগ করেছেন, গত ২৫ আগস্ট পেকুয়া অফিসের কর্মকর্তা আবদুল মজিদ লিখিত নালিশ চকরিয়া অফিসে পাঠানোর আগে ৮৪ হাজার টাকার বদলে তার কাছে ৩০হাজার টাকা দাবি করেন। উক্ত টাকা দিলে কোন সমস্যা হবেনা বলেও জানান। কিন্তু কোন অপরাধ না করে এতো টাকা কৃষক নুর মোহাম্মদ দিতে অপারগতা জানালে পেকুয়া অফিসের কর্মকর্তা আবদুল মজিদ চকরিয়া অফিসে লিখিতভাবে নালিশ করেন কৃষক নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জরিমানা নামে ৮৪ হাজার টাকা আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা তাকে হুমকি দিচ্ছে। টাকা না দিলে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করবে বলেও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে পল্লী বিদ্যুত পেকুয়া অফিসের কর্মকর্তা আবদুল মজিদ সাংবাদিকদের জানান, চকরিয়া অফিসের ডিজিএম কামাল হোসেনের নির্দেশে তিনি পেকুয়ার দক্ষিন মেহেরনামা এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে সংযোগ লাইন থেকে বিদ্যুত চুরি সনাক্ত করে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিতভাবে নালিশ করেন চকরিয়া অফিসে।
চকরিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুত চুরির অপরাধে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী এস্টিমিট বিলের নামে ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
চকরিয়ায় মালামাল নিয়ে গৃহবধু উধাও
বিএমচর ইউনিয়নের দিয়ারচর গ্রামে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুইপুত্র সন্তান ও নগদ টাকাসহ ৩লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক গৃহবধু। রবিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। মালামাল নিয়ে গৃহবধু পালিয়ে যাওয়া খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, একযুগ পূর্বে চট্টগ্রামে একটি পোষাক কারখানায় একসঙ্গে চাকুরি করার সময়ে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের সিড়িতে বসেন চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনয়নের দিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসনের পুত্র আবদুল হামিদ ও গাইবান্দা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া বাজারের বাসিন্দা ওয়াসিলের কন্যা শাহিনা আক্তার (৩২)। দাম্পত্য জীবনে এরই মধ্যে নেমে আসে দুটি ফুটফটে পুত্র সন্তান।
অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার ফিরিয়ে আনতে স্বামী আবদুল হামিদ মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমায়। কিন্তু সুখের আগমনে যেন দু:খের ডামাঢুল। স্ত্রী শাহিদা আক্তার গ্রামের শ্বাশুর বাড়ি থেকে গত ২০ আগস্ট শনিবার ভোরে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পৌরশহরের এস আলম কাউন্টারে অপেক্ষা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলমের নেতৃত্বে শ্বশুরালয়ের লোকজন তাকে পাকড়াও করে নিয়ে গেলেও গত রবিবার ভোরে ফের পালিয়ে যায়।
প্রবাসী আবদুল¬াহর বড় ভাই সাহাবউদ্দিন জানান, রবিবার ভোরে বাড়ির সদস্যেদের অজান্তে ছোটভাই আবদুল হামিদের স্ত্রী শাহিনা আকতার পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, যাওয়ার সময় ৩ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৩টি মোবাইল সেট, ২টি টর্চলাইট ও ১৫ হাজার টাকার মত কাপড়চোপড় নিয়ে যায়। এ সময় দুই পুত্রসন্তানও নিয়ে গেছে শাহিনা। দুই পুত্র সন্তানসহ মালামাল নিয়ে গৃহবধু উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগি লোকজন পলাতক গৃহবধু শাহিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারঁ ভাশুর সাহাবউদ্দিন।