ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির কাঠালিয়ার মহিষকান্দি ভায়েলাবুনিয়া হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেনীর সরকারি বই গোপনে বই বিক্রি করেছে মাদ্রাসার সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন। গতকাল বুধবার ওই মাদ্রাসার সুপার গোপনে বই বিক্রিকালে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ ও স্থানীয় জনতা বইসহ সুপারকে আটক করে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আবদুল লতিফ খান জানান,সুপার কাউকে কিছু না জানিয়ে কুষ্টিয়ার শরিফুল ও তফছেরের নিকট এবতেদায়ী ১ম শ্রেনী থেকে দাখিল শ্রেনীর ১০ম শ্রেনীর ২০১৪ সনসহ বিভিন্ন সনের ২শ৭৪ কেজি সরকারি বই বিক্রি করেন। এলাকাবাসী জানান, সভাপতি আবুল বশার বাদশার সাহসে সহ-কারি শিক্ষক মোঃ আবদুর রহিমের সহায়তায় সরকারি বই বিক্রিসহ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাকি দেয়া,উপবৃত্তির টাকা আতœশাত,এবতেদায়ী শাখায় ৫ ক্লাসে মাত্র ১৫ শিক্ষার্থী আছে,রিজার্ভ ফান্ডের টাকা নয়ছয় করা, নিজের ইচ্ছামত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা, অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচারনসহ সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মাদ্রাসার কাগজপত্র বিক্রি করার সময় হয়তো ২-৪খানা বই যেতে পারে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল বশার বাদশা জানান,এলাকার মানুষ জানেনা পুরাতন সরকারি বই বিক্রি করা যায়। তারা ভুলে সুপারের বিক্রিত বই আটক করেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াদ হাসান জানান, সরকারি বই বিক্রি সম্পূর্ন নিষিদ্ধ বই অতিরিক্ত থাকলে তা শিক্ষা অফিসে ফেরত না দিয়ে বিক্রি করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল বাশার মুহাম্মদ আমীর উদ্দিন জানান, সরকারি বই বিক্রি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রজ্ঞন চক্রবর্তী জানান,বিতরনকৃত বই পরবর্তী বছরে সংগ্রহ করার কোন সরকারি নির্দেশনা নেই। এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, সুপার মোয়াজ্জেমের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
