দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : ভারতে কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির কারনে ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাডী ঢলে সুমেশ্বরী নদীর দু-কুল ছাপিয়ে বণ্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের রিভিন্ন এলাকা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ ফসলের মাঠ। রবিবার দুপুর হতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর শহরের চরমোক্তারপাড়া,মুজিব নগর, ডাকুমারা, খুজিউড়া,শিবগঞ্জ বাজার ও থানাচত্তর প্লাবিত হয়ে ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পরায় দেখাদেয় চড়ম দুর্ভোগ। বিরিশিরির দাখিনাইল সাগরদিঘির পাড় বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে যাওয়ায় ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম পানিতে ডুবে যায়।পাউবো থেকে জানা যায় সুমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার দুই মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ড.তরুন কান্তি শিকদার বণ্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরী বৈঠক করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান ও মেয়র শ ম জয়নাল আবেদীন-এর পক্ষ থেকে রাতেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চিড়া,গুড়,মোমবাতি ও মেছ সর্বরাহ করা হয়।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাচেছ ফলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
দুর্গাপুরে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছে বারসিক
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) অধিকার বঞ্চিত প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছে।
বারসিক এমএন্ডসি অফিসার তোবারক হোসেন খোকন বলেন, হেল্প এইচ ইন্টারন্যাশনাল এর সহায়তায় বারসিক নেত্রকোনা সদর, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার ২টি করে ইউনিয়ন এবং প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ১০টি করে গ্রাম বাছাই করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম থেকে সুবীধা বঞ্চিত প্রবীণদের তালিকা প্রনয়ন এর পাশাপাশি তাঁদের অধিকার আদায়ে পথ নাটক, জারীগান, বাউল, পালাগান আদিবাসীগান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানান দেয়া হবে। তাঁর মধ্যে প্রবীণদের বয়স্ক ভাতা ৩শ থেকে ১হাজার টাকা, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় প্রবীণদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করা, যানবাহনে প্রবীণদের জন্য পৃথক বসার ব্যাবস্থা, নিজ পরিবারে সম্মানের সহিত বসবাসের ব্যাবস্থা গ্রহনে সুযোগ নিশ্চিত এর ব্যবস্থা করন। ৫টি ষ্টে হোল্ডারদের নিয়ে ৩বছর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে এর মধ্যে প্রবীণ জনগোষ্ঠী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক দল/ব্যাক্তি, সুশিল সমাজ ও স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে প্রবীণদের অধিকার ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কাজ নিশ্চত করা। ইতোমধ্যে স্থানীয় সাংস্কৃতিক দলের তালিকা প্রস্তত করা হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষনের পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামুলক সাংস্কৃতিক প্রচারভিযান শুরু হবে।