নাটোর প্রতিনিধি : উত্তর জনপদের অন্যতম ব্যবসা-বন্দর নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বানিজ্যনগরী চাঁচকৈড় হাটে জমজমাট হয়ে উঠেছে সুবিশাল জামাই হাটা।
চাঁচকৈড় হাটের হৃদপিন্ড ছুয়ে যাওয়া নন্দকুজা নদী তীরের রসুন হাটার নদী বাঁধা এলাকায় গড়ে উঠেছে এক বিশাল জামাই হাট। চাঁচকৈড় বাঁশহাটা ও গো-হাটা সহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জামাই হাটা এসে সমবেত হয়েছে নন্দকুজা নদী তীরের অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। চাঁচকৈড় কাচারীপাড়ার সাদেক আলী সহ বামনকোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল আজিজ, মকুল, সামসুল হক,আব্দুল মজিদ,আবুল মেম্বর, রুনু, আরিফ, মোঃ মজিদ, খরশেদ আলী, জাহিদুল ইসলাম ও মঈনুল হক সহ প্রায় ডজন খানেক ভাত তরকারীর দোকানদার শশুর-শ্যালক সেজে হাটুরে খরিদ্দারদের মাংস ভাত খাইয়ে সেবা করে থাকেন। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ওই জামাই হাটা পরিচালিত হয়ে থাকে। জামাই হাটা নেতা সাদেক আলী ও খবির উদ্দিন জানান- ওই জামাই হাটাতে ভাত প্রতি প্লেট ১০ টাক, খাশি ও মুরগির মাংস প্রতি প্লেট ৪০ টাকা, গরু ও মহিষের মাংস প্রতি প্লেট ৩০ টাকা, মাছ ও ডিম প্রতি পিচ ১০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে। এতে করে গরু বা মহিষের মাংসে ৫০ টাকায় ১ জন জামাই খরিদ্দার পেটপুরে ভাত খেতে পারে।
তাঁরা আরো জানান- বাংলাদেশের কোথাও এত সস্তা ভাত, মাছ, ডিম,মাংস পাওয়া না যাওয়ায় অনেক দূর দুরান্ত থেকে জামাইরা এসে এখানে পেটপুরে খেয়ে থাকেন। আরো জানা যায়- প্রতি হাটে ওই জামাই হাটায় কমপক্ষে ৫ গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী জানান, সপ্তাহের ২ হাটের দিন দুর-দুরান্ত থেকে আগত হাটুরে জামাইদের সেবা দেয়ার জন্যই রসুন হাটার নন্দকুজা নদী তীরের মনোরম পরিবেশে ওই জামাই হাটার আয়োজন করা হয়েছে। চাঁচকৈড় হাটে এসে দুরাগত কেউ যেন জামাই হাটার শ্বশুর শালাদের সেবা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় সে দিকে কড়া নজরদারী রাখা হয়েছে।
