মনির হোসেন পাটওয়ারী , রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) : রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে শনি ও রবিবার এই ২ দিন হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার মোজাম্মেল হকসহ ৫জন ডাক্তার অনুপস্থিত থাকার কারনে উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীরা বিপাকে পড়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অনেক রোগী উল্লেখিত ডাক্তারদের না পেয়ে চিকিৎসা ছাড়া বাড়ি ফিরছেন ।
সরজমিনে রবিবার দুপুর বারটার দিকে সরকারী হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী বলেন গতকাল শনিবার রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার মোজাম্মেল হক, মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুল হক,ডাঃ মোস্তাক আহম্মদ,ডাঃ গুনময় পোদ্দার, ডাঃ সংগীত পাল সহ ৫জন ডাক্তার লক্ষীপুর জেলার সাবেক সিভিল সার্জনের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেয়ে সিলেটে গিয়েছেন । মাত্র ২জন ডাক্তারকে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে রোগীদেরকে বসিয়ে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে খোশ গল্প ও শ্যাম্পল ঔষধপত্র উপটোকন নিয়ে আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে । ডাঃ নাজমুল হকের চেম্বারে তার অনুপস্থিতিতে রবিবার রোগী দেখেন উপজেলা চন্ডিপুর ইউপির চাঙ্গির গাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ডাঃ মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সাংবাদিকরা চেম্বারে টুকে পরিচয় দিয়ে ডাক্তারকে প্রশ্ন করেন রোগী চেম্বারের থাকা অবস্থায় ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে ঔষধ সংত্ক্রান্ত ও প্রাইভেট ব্যবসা নিয়ে আলাপচারিতা বিধি সম্মত কিনা জানতে চাহিলে তিনি দম্ভকরে বলেন সাংবাদিকদের কাছে আমি কৈফিয়ত দিব না, আজকাল সাংবাদিকতায় ডিগ্রী লাগে না ডাক্তার হতে হলে ডিগ্রী লাগে। বিগত বছর একজন সাংবাদিক স্থানীয় পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ লেখেছে এ ব্যাপারে মামলা করতে থানায় গেলে ওসির সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন স্থানীয় পত্রিকা গুলো আমি টয়লেট পেপার মনে করি । মামলা করতে হবে না । ডাঃ এ এস এম নুরুল আমিন সিদ্দিকীকে এক মাত্র তার চেম্বারে রোগী দেখতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ডাঃ মোজাম্মেল হকের পিয়ন দিলীপ কুমারের কাছে ৫ ডাক্তারের অনুপস্থিতিতির কারন জানতে চাহিলে তিনি বলেন স্যার ডাঃ মোজাম্মেল হক সহ অন্য ডাক্তাররা ঢাকায় ট্রেনিংয়ে গেছেন ।
