এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া (কক্সবাজার) : পেকুয়ার মগনামা লঞ্চঘাট সংলগ্ন জেটি প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। সাগরের মুক্ত হাওয়া আর চরে গড়ে ওঠা প্যারাবনের সবুজ সমারোহ চমৎকারভাবে যে কাউকে আকৃষ্ট করে। সাগরের জোয়ারে যখন সবুজ ঘেরা প্যারাগ্রাম অর্ধডুব দেয় তখন মনে হয় যেন সাগর গর্ভে সবুজদ্বীপ। খনে খনে সাগরের ঢেউ ্ওই সবুজকে পানির আছড় দিয়ে যাওয়া, নানা প্রজাতির পাখি উড়াল দিয়ে ওই সবুজে স্থান নিতে এলোমেলো প্রচেষ্ঠায় কখনো কখনো সাগরে ডুবে যাওয়া আবার ওই প্যারবনে আশ্রয় নেয়া দেখতে কেমন যেন শিহরিত করে মনকে। পেকুয়া উপজেলার পশ্চিম সীমানায় বঙ্গোপসাগর হয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়া পার হওয়ার জন্যে নির্মিত জেটিটি এখন পর্যটক বা বিকেলবেলায় ক্লান্তি দুর করতে সাগরের কাছাকাছি গিয়ে উন্মুক্ত হাওয়ায় মন ভাসিয়ে সাগরের ঢেউ দেখার জন্যে পরিচ্ছন্ন জায়গা হিসেবে মগনামা ঘাট এলাকার জেটি ছাড়া পেকুয়ার মানুষের কোন উপায় নেই। কারণ জেটি হয়ে কিছুটা সাগরের ভিতর গিয়ে মনমাতিয়ে ঢেউয়ের পর ঢেউ দেখার অপরুপ মুহুর্ত সত্যিই ভিন্ন আমেজের। জেটিকে কেন্দ্র করে বঙ্গোপসাগরের বেড়িবাধের বাইরে জেগে ওঠা চরে বনবিভাগের রোপন করা প্যারাবন এখন মাথা উচু করে দাড়িয়ে সাগরের লোনা পানির ঢেউয়ের সাথে সবুজের মিতালী দৃশ্য সত্যিই যে কারো মনকে আবেগঘন করে তোলবে। যাত্রী পারা পারের একটি জেটিকে সাধারণ লোকজন যেভাবে বিনোদনের জন্যে একটু অবসরকে অবকাশ যাপনের জন্যে বেছে নিয়েছে তাই ইঙ্গিত বহন করে এ জেটির দুপাশে বনবিভাগের প্যারাবণের বুক চিরে জেটির আদলে প্লাট ফরম তৈরী করা হলে পর্যটকের ভিড় আরো বৃদ্দি পাবে। বিকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দৈনিক ২শ থেকে ৩শ মত পর্যটক ্ওই জেটিতে গিয়ে বিনোদন অনুভব করে বলে স্থানীয় ও আগত পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানাযায়। মগনামা জেটির দুপাশে দুকিলোমিটার পর্যন্ত বর্তমানে চরে প্যারাবন সৃষ্টি হয়েছে। ঠেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ সহ পরিকল্পিত পর্যটনায়ন করা হলে অতী সম্ভাবনার পর্যটন স্পট হিসেবে প্রতিষ্ঠিা পাবে বলে প্রত্যাশা এঅঞ্চলের লোকজনের। মগনামা লঞ্চঘাট থেকে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ঘাট পর্যন্ত বর্তমানে সাগরের দৈর্ঘ্য রয়েছে ৩.৫ মাইল। অনেকে মনে করেন, এদীর্ঘ সাগর পথে যদি ক্যাবল কার স্থাপন করা হয় কুতুবদিয়া মগনামার দর্শনীয় দুটি পর্যটন স্পট জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা পেযে জাতীয় রাজস্ব আয়ের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে। মগনামার জেটি সংলগ্ন উত্তর দক্ষিণ দুপাশে অপার সম্ভাবণার পর্যটন স্পট উল্লেখ করে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তরুণ রাজনীতিবীদ শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, সরকারের পর্যটন বিভাগ যদি বনবিভাগের সাথে সমন্বয় করে এএলাকায় পরিকল্পিত পর্যটনায়ন করে তাহলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি বেকারত্ব দূরিকরণে অনেকের কর্মসংস্থান ছাড়াও মগনামাবাসীর দূ:খ বেড়িবাধেরও উন্নয়ন হবে। বর্তমানে সাগরের লোনা পানি আর প্যারাবণের সবুজের হাতছানি পর্যটকদের ডাকলেও তা স্পর্শ করা সুযোগ নাই আশা ও প্রত্যাশা সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ নিলে উপকূলীয় অঞ্চলের বিনোদন বঞ্চিত লোকদের মনের চাহিদা মিঠবে। তিনি আরো আশাবাদ ব্যাক্ত করেন, বনবিভাগ যদি একটি রেষ্টহাউস নির্মাণ করে দূরদূরান্তের পর্যটক সহ সরকারী কর্মকর্তারা কুতুবদিয়া পেকুয়ায় কর্মসূচী পালনে আসলে সুবিধা ভোগ করবে। আরেক তরুণ রাজনীতিক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু বলেন, মগনামা জেটি সংলগ্ন এলাকায় ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপূঞ্জের মতো বিশ্বমানের পর্যটন স্পট তৈরি সম্ভব। পেকুয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পাক্ষিক পেকুয়ার সম্পাদক মো.ছফওয়ানুল করিম বলেন, পেকুয়া সাগর আর পাহাড় ঘেরা হলেও পাহাড় সাগর কেন্দ্রিক কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় উপক’লের মানুষ বিনোদন বঞ্চিত। সরকারের উচিত সম্ভাবনার এ স্পটকে পর্যটনায়ন করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ পর্যটন আয় বৃদ্ধি করা।