নরসিংদী প্রতিনিধি : তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নরসিংদী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র রায়হান (১৯)’র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় শিবপুর থানা পুলিশ কারারচর মন্দিরসংলগ্ন হারিধোয়া নদী থেকে উদ্ধার করেছে। গতকাল রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ রায়হানের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের নিকট হস্তান্তর করেছে।

জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচর গ্রামের মাসুদ মাস্টারের ছেলে রায়হান পলাশ উপজেলার দড়িচর গ্রামে নানীর বাড়ীতে থেকে শিবপুর উপজেলার শাষপুরে অবস্থিত নরসিংদী কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে লেখাপড়া করতো। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষ করার পর একটি অজ্ঞাত মোবাইল ফোন পেয়ে রায়হান বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়ী ফিরেনি। তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও তার হদিস পায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন কারারচর মন্দির সংলগ্ন হাড়িধোয়া নদীর পানিতে মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। গুপ্তঘাতকরা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর খবর পেয়ে রায়হানের আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে। পরে শিবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। লাশের পাশ থেকে একটি মোবাইলসেটও উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রায়হানের মাথায় বহুসংখ্যক আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরে পচন ধরায় আঘাতের চিহ্ন বুঝা যায়নি। হত্যাকান্ডের কারন জানা যায়নি। তবে রায়হানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে রায়হানের পিতা মাসুদ মাস্টারের সাথে তার চাচাতো ভায়ের মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নরসিংদীতে বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী এক যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক নরপিশাচ
অব্যাহত ধর্ষণের ধারাবাহিকতায় এবার দিনদুপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২১ বছর বয়স্কা এক বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী। গত ১৪ আগস্ট নরসিংদী সদর উপজেলার ভূইয়ম গ্রামে এই বর্বরোচিত ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল রবিবার নরসিংদী থানা পুলিশ যুবতীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
জানা গেছে, ভূইয়ম গ্রামের জনৈক মৃত ব্যক্তির একজন বুদ্ধি ও বাকপ্রতিমন্ধী। সে আধো আধো ভাষায় কথা বলতে পারলেও বুদ্ধিহীনতার কারনে তার চলাফেরা অনেকটাই অগোছালো। যার ফলে সে তার শরীরকে পরিপূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে পারে না। পিতার মৃত্যুর পর আত্মীয়-স্বজনের কাছে লালিত পালিত হয় এই অসহায় যুবতী। সবাই তাকে মায়া দয়া করলেও তার দিকে লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একই গ্রামের লম্পট ইব্রাহিম। বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় ইব্রাহিম। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের নজরদারীর কারনে তা পেরে উঠেনি। অবশেষে গত ১৪ আগস্ট বেলা ১১ টার সময় ইব্রাহিম সবার অলক্ষ্যে যুবতীকে পাশ্ববর্তী একটি ধইনচা ক্ষেতের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে লম্পট ইব্রাহিম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে চলে যায়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ী ফিরে যুবতী ঘটনাটি তার আত্মীয়-স্বজনকে জানায়। আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি ইব্রাহিমের আত্মীয়দেরকে জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে হয়রানী করতে থাকে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে যুবতীর আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি নরসিংদী থানা পুলিশকে অবহিত করে এবং এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দাখিল করে। নরসিংদী মডেল থানার ওসি কেএম আবুল কাসেম জানান, অভিযোগ দায়েরের পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মামলাটি গ্রহন করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে ধর্ষক ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হবে।
