আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : যৌতুকের বলি মনিরা (২১) বরগুনার আমতলী হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। স্বামী আল আমিন আকন, শ্বশুড় মালেক আকন ও শ্বাশুড়ী মাহিনুর বেগম এর নির্যাতনের স্বীকার মনিরা জানায়, আড়াই বছর পূর্বে আমতলী উপজেলার টিয়াখালী গ্রামের সানু মৃধার মেয়ে মনিরা বেগমকে কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের মালেক আকন এর ছেলে আল আমিন আকন এর সাথে বিয়ে হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিদেশ যাওয়ার কথা বলে যৌতুকের জন্য মনিরাকে চাপ দিতে থকে। নিরুপায় মনিরার বাবা দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়। এক বছর পর বিদেশ থেকে ফিরে এসে পুনরায় আল আমিন মটর সাইকেল কেনার জন্য আবারও দুই লাখ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় মনিরার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। গতকাল সকালে মনিরার স্বামী, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী মিলে মনিরাকে বেধরক মারধর করে পিটিয়ে যখম করে ও মনিরাকে ঘরে থাকা বাংলা দাও দিয়ে মাথায় কোপ দিলে সে মাটিতে পরে যায়। কোপ দিয়ে খান্ত হয়নি তারা। মনিরার পেটে লাথি মারে। লাথির আঘাতে আড়াই মাসের অন্তসত্ত্বা মনিরার রক্ত খরন হতে থাকে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এক প্রতিবেশী তার পিতাকে খবর দেয় খবর পেয়ে মনিরার পিতা সানু মৃধা মনিরাকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মনিরার বাবা সানু মৃধা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে আদালত আগামী ২৮ আগষ্ট শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।