মোঃ আমিনুর ইসলাম, গাবতলী (বগুড়া) : কঠোর পরিশ্রম আর দারিদ্রকে পরাজিত করে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে গোল্ডেন জিপিএ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছে শারমিন আক্তার। সে বিসিএস করে ভবিষৎতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে চায়। বগুড়ার গাবতলী পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়া গ্রামের বসিন্দা থানা সদরে রুপালী ব্যাংকের নিচে ফুটপাতে মাংস বিক্রেতা স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত শহিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে শারমিন আক্তার। অথচ এসএসসি পরীক্ষায় শারমিন জিপিএ ৪.৬৩ (ফোর পয়েন তেশষ্টি) পেয়েছিল। গাবতলী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল সে। এসএসসি পাস করার পর মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়। মেধা আর আদম্য প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে শারমিন ১৪ ঘন্টা লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করে। দারিদ্র পিতা ঠিকমতো সকল বিষয়ে প্রাইভিট দিতে পারেনি। তবুও থেমে থাকেনি শারমিনের লেখাপড়া, সবচেয়ে ভাল ফলাফলের আশায় শারমিন লেখাপড়ায় জেদী হয়ে ওঠে যে, কেন প্রাইভিট ছাড়া পারবনা ভাল ফলাফল করতে। দারিদ্র তার মেধার কাছে পরাজয় মানতে বাধ্য হয়েছে। গাবতলী মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগে ২১৫ জন ছাত্রীর মধ্য সে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ গোল্ডেন প্লাস পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ৩ ভাই বোনের মধ্য সে দ্বিতিয়। তার ভাই আরিফ হোসেন প্যারামেডিক্যাল কোর্চ সমাপ্তর জন্য বগুড়া সজিমেক মেডিক্যাল কলেজে ইর্ন্টানি করছে। ছোট ভাইয়ের বয়স ১ বছর। শারমিন এই প্রতিনিধিকে জানায় ইচ্ছা থাকলে দারিদ্র বাধা নয়। তার ভাল ফলাফলের জন্য মা আঞ্জুয়ারা বেগমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি বাবা শহিদুল ইসলাম কলেজের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শারমিনের ইচ্ছা লোখাপড়া শেষকরে দেশের সেবার জন্য সে প্রসাশনিক কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছে। আমরাও এই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী শারমিনের ইচ্ছা ও আকাংখ্যা যেন আল্লাহ পুরুন করেন সেই দোয়া করি।
