অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : আগৈলঝাড়ার মাদক সম্রাট মতি সরদার ওরফে গাঁজা মতিকে বুধবার রাতে ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ভূমি অফিসে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে এরশাদ সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ।

আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক সম্রাট মতি সরদার ওরফে গাঁজা মতিকে তার নিজবাড়ি পূর্ব সুজনকাঠি থেকে বুধবার রাক ৮টায় গ্রেপ্তার করেন। অপর দিকে একই উপজেলার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে এরশাদ সরদারকে চাঁদাবাজির মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়ায় চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে সর্বস্ব লুট : গুরুতর অবস্থায় ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি পরিবারের সবাইকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য
খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে দৃর্বিত্তরা। অজ্ঞান অবস্থায় গৃহকর্তাসহ ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার পতিহার গ্রামের দুলালদের ঘরে বুধবার রাতের খাবারের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাখে অজ্ঞাত নামা দুর্বিত্তরা। পরিবারের গৃহকর্তা দুলাল দে (৫৫) তার স্ত্রী পুস্প রানী দে (৪৫) বৃদ্ধা মা বিনোদিনী দে (৮৫) ছেলে প্রদীপ দে (২৯) ও মেয়ে কনিকা (১৫) ওই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে এই সুযোগে দৃর্বিত্তরা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হাসপাতাল চত্বর থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে এক নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৌরনদী সার্কেলের এএসপি মো. কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালের গৌরনদী হাসপাতাল কমপ্লেক্সের পানি সাপ্লাই ভবনের পাশে একটি নবজাতকের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
একাধিকসূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার ছাড়াও অতিসম্প্রতি পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পেছনের ড্রেনের ভিতর থেকে ও ডাস্টবিনের বালতি থেকে পর পর দু’টি গর্ভপাত ঘটানো শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে ওই ঘটনা প্রশাসন, সাংবাদিক ও লোক জানাজানির আগেই আলামত সরিয়ে ফেলা হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি এসব ঘটনায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সুরাইয়া বেগমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর তারা একই কর্মস্থলে গেঁড়ে বসে অবৈধ গর্ভপাতসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে সুরাইয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে পেশাগত কথা না বলে দম্ভ করে তিনি শরীফ বাড়ির লোক বলে নিজেকে জাহির করেন। তিনি বলেন, নবজাতকের মৃতদেহ কিভাবে ওখানে এসেছে তা বলতে হলে রাত জেগে আমাকে পাহারা দিতে হত।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোসলেম উদ্দিন বলেন, এঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা গৌরনদী সার্কেলের এএসপি মো. কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের তাদের আইনের আওতায় আনা আমাদের দায়িত্ব।
