ads

সোমবার , ১৮ আগস্ট ২০১৪ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রামগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী ছিনতাই : ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ১০

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
আগস্ট ১৮, ২০১৪ ৫:০৪ অপরাহ্ণ
রামগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী ছিনতাই : ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ১০

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলায় হেন্ডকাপ পরিহিত হত্যা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৭ আগষ্ট রবিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রামগঞ্জ থানা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও করপাড়া এলাকার কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়।

Shamol Bangla Ads

জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক মজিবের উপস্থিতিতে একটি গ্রাম্য শালিস চলাকালীন সময়ে শালিস বৈঠকে করপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী পশ্চিম করপাড়া গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে মোঃ মিঠু উপস্থিত হওয়ায় নিহত সাইফুলের মামা বেলাল মেম্বারসহ তার আত্মীয়-স্বজন মিঠুকে সেখান থেকে আটক করে রামগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেয়।
পরে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে হত্যা মামলার আসামী মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে উঠানোর সময় মিঠুর লোকজন তাতে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে মিঠুর পক্ষের লোকজন বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপ পরিহিত হত্যা মামলার আসামী মিঠুকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লেও মিঠুকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিবকে গুলি ও মারধর করার গুজব ছড়িয়ে সন্ত্রাসীরা ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের করপাড়া ছৈয়াল বাড়ীতে হামলা করে দুটি বসতঘর, স্থানীয় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এঘটনায় পুলিশ এগিয়ে আসলে মিঠু পক্ষের লোকজনের সাথে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংর্ঘষ ও গুলি বিনিময়।
সংঘর্ষে চার পুলিশ ও ইউপি সদস্য কালু মিয়া, মফিজুর রহমান, জাকির হোসেন, বেলাল উদ্দিন, বাবুল হোসেন, সুমন হোসেন, রুবেল হাওলাদার, বুলি বেগম, তামান্না বেগমসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুর দেড়টায় লক্ষ্মীপুর ডিবি পুলিশ ও রামগঞ্জ থানা পুলিশ করপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব ও মেম্বার বেলাল হোসেন, আবুল কালাম কালু মেম্বার, রুহুল আমীনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামী মোঃ মিঠুকে করপাড়া থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় তার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং করপাড়া থেকে লক্ষ্মীপুর ডিবি পুলিশের সহযোগীতায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত করপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় সংঘর্ষ দেখে তিনি বাড়ি চলে যান। পরে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!