ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ টানা ভারীবর্ষণ ও পাহাড়িঢলে ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছাতক পৌরসভাসহ উপজেলার ইসলামপুর, নোয়ারাই, কালারুকা, চরমহল্লা, ছাতক সদর, জাউয়া, সিংচাপইড়, উত্তর খুরমা, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার গ্রামীণ কাঁচা ঘর, সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানের চারা ও ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর, নোয়াকোট, ছনবাড়ি, বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন আকস্মিক বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। ছাতক-আন্ধারীগাঁও সড়কের পেপার মিল বাজার সংলগ্ন বিকল্প সড়কটি বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে যানচলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যার কারনে সুরমা নদীর দু’পাড়ে প্রায় ১০-১২টি স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পৌরসভার মন্ডলীভোগ, ছোরাবনগর ও চরেরবন্দ এলাকায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। এফআইভিডিবি’র বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাংপাড় নোয়াকোট প্রাথমিক বিদ্যালয়, লুবিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াকোট মাদ্রাসা ও মুক্তিরগাঁও মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইছামতি ও ছনবাড়ি বাজারের কাঁচা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ছনবাড়ি সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন শাক-সবজির বাগান ও রোপা আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানের সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমা স্পর্শ করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ছাতকে শাপলা ফুল কুড়াতে গিয়ে বিলের পানিতে এক ব্যক্তি নিখোঁজ

ছাতকে শাপলা ফুল কুড়াতে গিয়ে বিলের পানিতে তলিয়ে সমর দাস (৪৭) নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে। সে পৌর শহরের তাতিকোনা এলাকার মৃত সুরেশ দাসের পুত্র। গতকাল রোববার সকালে ছাতক ইউনিয়নের তেরাবিলে এ ঘটনা ঘটে। হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের মনসা পূজার জন্য শাপলা ফুল তুলতে যায় সমর দাস ও একই গ্রামের সুকান্ত দাস। তেরাবিলে নেমে শাপলা ফুল কুড়ানোর এক পর্যায়ে সমর দাস পানিতে তলিয়ে যায়। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ছাতকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শ্রী কৃষ্ণের প্রতিকৃতিসহ র্যালী

ছাতকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শ্রী কৃষ্ণের প্রতিকৃতিসহ একটি র্যালী বের করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে শহরের পশ্চিম বাজারস্থ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া থেকে র্যালীটি বের করা হয়। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী র্যালীটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের শ’শ’ নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে র্যালীটি নগর পরিক্রমা শেষে আখড়া প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি, ইসকন পরিচালিত নামহট্ট সংঘ, সৎ সংঘ, লোকনাথ সেবাশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশনসহ বিভিন্ন ব্যানারে ধর্মপ্রান মানুষ র্যালীতে অংশ গ্রহন করে। এ সময় উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ সাহার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালীতে মহর গোস্বামী, গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী, এড. পিযুষ ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক হরিদাস রায়, মোহন্ত রায়, সজল চৌধুরী, রবিন্দ্র কুমার দাস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক লাল দাস, বিনয় ঘোষ, বিকাশ রায়, চম্পু দত্ত, ভানু দাসসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতীসহ সব বয়সের লোকজন নগর পরিক্রমায় অংশ নেয়।
ছাতকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীসভা
ছাতকে পৌর জামায়াতের উদ্যোগে শনিবার ইসলামী ছাত্রআন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক কর্মীসভা স্থানীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর জামায়াতের আমীর এড. রেজাউল করিম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সহকারি সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জালাল উদ্দিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল কদ্দুছ। বক্তব্য রাখেন, ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম সোহেল, লুৎফুর রহমান, আলী আমজদ, জাকির হোসেন জুয়েল, নজমুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিম সাদেক, মাওলানা শাহীন আলম, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, শামছুল হক চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁন বলেন, জেল-জুলুম চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবেনা। তিনি বলেন, যুগে-যুগে সত্যপন্থিদের জালিমশাহীর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু নির্যাতন চালিয়ে ফেরাউনরাও টিকে থাকতে পারেনি। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সচিব আকমল হোসেন ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ
——–অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, সচিব আকমল হোসেন ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। দেশে ও দেশবাসীর কল্যাণে তিনি সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আকমল হোসেনের জীবনযাত্রা অনুসরনীয় বলে তিনি মনে করেন। আকমল হোসেনের জন্ম ছাতকে হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ গর্ব করার দাবী রাখে। তিনি মরেও দেশবাসীর কাছে বিশেষ করে সিলেটবাসীর কাছে অমর হয়ে থাকবেন। আকমল হোসেনকে হারিয়ে আমরা একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাদা মনের মানুষকে হারালাম। গতকাল রোববার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ মাঠে নাগরিক শোকসভা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে সাবেক তথ্য ও জ্বালানি সচিব এম আকমল হোসেন স্মরনে নাগরিক শোকসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। শোকসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও গোবিন্দগঞ্জ কলেজের উপাধ্যক্ষ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আবু সাদত লাহিন এবং খালেদ আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, এড. পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নজিবুর রহমান মানিক, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফায়েত মাহমুদ চৌধুরী, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতিক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, দৈনিক উত্তর পূর্ব পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তাপস দাস পুরকায়স্থ, জেলা জাপা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওহিদ কনা মিয়া, উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক লুৎফুর রহমান সরকুম, সাবেক সভাপতি আবরু মিয়া তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফি, ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুর আলম প্রমুখ। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনুর আক্তার পান্না, দোয়ারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহা বেগম, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন, ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, বিল্লাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ, সিলেট সমিতির সাধারণ সম্পাদব আফজাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আবু হানিফা সায়মন, ছাত্রলীগ নেতা ছায়াদুর রহমান ছায়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাওছার আল-মামুন, সহ-সম্পাদক ফয়জুল আলম লিটনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
