কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক ও ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার শাদীপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান বলেন, গত ৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় উপজেলার পার্শ্ববর্তী শাদীপুর গ্রামের মারু মালিথার ছেলে জুয়েল (২৪) একই গ্রামের দরিদ্র নজির উদ্দির ওরফে নুদির কিশোরী কন্যাকে (১৫) বাড়িতে থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের এ ঘটনা ধর্ষিতা কিশোরী বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে একই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মেম্বর ধর্ষিতা পরিবারকে মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ধর্ষিতা অসহায় পরিবার গ্রাম্য শালিসে মিমাংসার অপারগতা প্রকাশ করলে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মেম্বরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষিতার পিতা নুদির আলীকে ধর্ষনের এ ঘটনা জোরপূবর্ক মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মিমাংসা করা না হলে তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ প্রাননাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। ধর্ষিতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমূল হক পাভেলের নেতৃত্বে দৌলতপুর থানা পুলিশ গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে শাদীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ধর্ষক জুয়েল (২৪) ও তার পিতা মারু মালিথা (৪৮) এবং ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মেম্বরকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। এসময় ধর্ষিতার বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার নং ১৪। জিঞ্জাসাবাদ শেষে ধর্ষন মামলার ৩ আসামীকে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
বাউল ফকিরের চুল কর্তনের প্রতিবাদে লালন মাজারে মানববন্ধন

বাউল তত্ব ধারণ করার অপরাধে মসজিদের এক ঈমামের নির্দেশে নারকেল গাছের সাথে বেঁধে হাসুয়া দিয়ে এক বাউল ফকিরের চুল কর্তন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার এক নিভৃতপল¬ীতে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে কুষ্টিয়া লালন মাজারে প্রায় শতাধিক বাউল ফকিরেরা মানবন্ধন ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার সকালে গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চানপুর বাচামারি গ্রামের আবু বক্কার ওরফে বাক্কা ফকিরের বাড়ীতে তার গুরুজন সানোয়ার শাহ বেড়াতে আসেন। দিনভর গুরুশিষ্যদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি চলে যান। এর পর ওই এলাকার মসজিদের ঈমাম হাফেজ বসির উদ্দিনের পরামর্শে রব, হানিফসহ ৫ জন শুক্রবার রাতে বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বাউল ফকির আবু বক্কারকে একটি নারকেল গাছের সাথে বেঁধে হাসুয়া দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয় তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া লালন মাজারে খাদেম মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে শতাধিক বাউল ফকির মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বাউল তরিকার এই অবমাননার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আগত বাউল ফকিররা। লালন গবেষক ফকির হৃদয় সাঁই বলেন, একের পর এক বাউলদের অবমাননা করা হচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ হচ্ছে না। গাংনীর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে গাংনী এলাকায় নারকেল গাছের সাথে বেঁধে হাসুয়া দিয়ে এক বাউল ফকিরের চুল কর্তন কারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
