ads

সোমবার , ১১ আগস্ট ২০১৪ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঝালকাঠিতে ফেইসবুকে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে অপহরনের দু’মাস পর অপহৃতাকে উদ্ধার

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
আগস্ট ১১, ২০১৪ ১:৩২ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে ফেইসবুকে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে অপহরনের দু’মাস পর অপহৃতাকে উদ্ধার

অপহরনকারীকে রক্ষায় জেডিএস পরিচালকের নেতৃত্বে ঝালকাঠি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীর বিবাহ সম্পন্ন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : সরকার ও বেসরকারী সংস্থাগুলো যখন বাল্যবিবাহ রোধে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তখন ঝালকাঠিতে এক এনজিও পরিচালক অপহরনকারীকে রক্ষায় আত্মীয় সেজে অপহৃতা এক স্কুলছাত্রীকে ৪লাখ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের পর বিকালে ঝালকাঠি শহরের এক বাসায় নিয়ে গোপনে অনুষ্ঠিত এ বাল্যবিবাহে এনজিও পরিচালক রুপী অপহরনকারীদের রক্ষাকারী নিজেই স্বাক্ষি হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার বিবরন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফেইজবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে শহরের পশ্চিম ঝালকাঠির এলাকার মাসুক সিকদারের মেয়ে ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মাহমুদা আক্তার মীম (১৫) এরসাথে নলছিটি নাচনমহল ইউনিয়নের আতিকুর রহমান (২৩) পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৩০ মে বেলা ১১ টায় বাসন্ডা যুব উন্নয়নের সম্মুখ থেকে মামা বাড়ী যাওয়ার পথে ফেইজবুক বন্ধু আতিক ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরন করে। দীর্গ দিন তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষন করে। পরবর্তীতে বহু খোজাখুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ১১ জুন মিমের পিতা মাসুক সিকদার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। থানার সিনিয়র এসআই আঃহালিম তালুকদারের উপর তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হলে তিনি মোবাইল ট্রাকিং ও কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ৭ আগষ্ট বরিশাল রুপালতী বাসষ্টান্ড থেকে অপহৃতা স্কুলছাত্রী মিমকে উদ্ধার করে। বিধি অনুযায়ী তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি হাসপাতালে প্রেরন করলে ঘটনা নাটকীয় মোড় নিতে থাকে। অপহরন ও ধর্ষনের নায়ক আতিকের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে স্থানীয় জেডিএস নামক এনজিও পরিচালক শাহআলম খলিফা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মাঠে নামে। সে অনুযায়ী মোটা অংকের দেনমোহরের বিনিময়ে স্কুলছাত্রীর অভিভাবককে আতিকের সাথে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাবে ম্যানেজ করে মিমকে ডাক্তারী পরীক্ষায় আপত্তি না করা সহ ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বেচ্ছায় ঘর ছাড়া ও পূর্বেই বিবাহ বন্ধনের জবানবন্দী দেওয়াতে সক্ষম হয়। পরে ছেলে জেডিএস পরিচালক শাহআলম খলিফার নেতৃত্বে সুমন নামে এক কাজী ডেকে ৪ লাখ টাকা দেন-মোহরানায় কাবিন রেজিষ্টেশন করা হয়। সচেতন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হয়েও জেডিএস পরিচালক শাহআলম খলিফার এহেন আইন ও নৈতিকতা বিরোধী ভূমিকায় সচেতন মহলে বিস্ময় সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল-কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন থাকার সময় এসে গেছে বলেও তারা মতব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে জেডিএস পরিচালক শাহআলম খলিফা ছেলেটি তার খালাতো ভাই হওয়ায় তাদের অনুরোধে অনৈতিক হলে তিনি সহযোগীতা করতে বাধ্য হয়েছে। বাধ্য হয়ে আইন লংঘন করাটি কি বৈধ জানতে তার স্থানে সাংবাদিক নিজে হলে কি করতেন বলে পাল্টা প্রশ্ন করেন। আর স্কুলছাত্রী মিমের ভাই মামুন সিকদার জেডিএস পরিচালক শাহআলম খলিফা সহয্গোীতায় বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিয়েতে ছেলে আতিক সহ তার পক্ষে জেডিএস পরিচালক শাহআলম খলিফা ও পিতার এবং স্কুলছাত্রীর পক্ষে সে ও এক নানার উপস্থিত ছিলেন

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!