ইয়ানুর রহমান, যশোর : যশোরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলির পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি আবদুল মান্নানকে। ৯ আগষ্ট শনিবার বিকালে বেজপাড়া পিয়ারী মোহন সড়কে মান্নানের প্রতিষ্ঠান মেসার্স এএম ট্রেডার্সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজু। তবে কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি কেউ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই বেজপাড়া থেকে এলাকাবাসী একটি মিছিল বের করে থানা ঘেরাও করে। সন্ধ্যার পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগও শহরে মিছিল করে।
৪৫ বছর বয়সী মান্নান বেজপাড়ার মাহফুজ সড়কের বাসিন্দা। এক ছেলে চঞ্চল ও দুই মেয়ে দিশা ও দুহিতার জনক তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আসরের নামাজ পড়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মান্নান তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার পরপরই মুখ বাঁধা দুই যুবক দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। “গুলি খেয়ে মান্নান বাইরে বেরিয়ে এলে তারা গলায় ধারালো অস্ত্রের পোচ দিয়ে চলে যায়।”
মান্নানের প্রতিবেশী খোকন বলেন, হত্যাকারীরা সংখ্যায় ছিল ছয়জন। দুজন দোকানে ঢুকেন, বাকি চারজন রাস্তার দুই পাশে অবস্থান করছিলেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ইসলাম জানান, খুনের পর যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলে হামলাকারীরা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেজপাড়া বিহারি কলোনির দিকে পালিয়ে যায়।
মান্নানকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানান, তার মৃত্যু হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা আলী রেজা রাজু হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “মান্নান সব সময় তার এলাকায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত। সে কারণে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।” কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই সহিদুল কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
