ads

শনিবার , ৯ আগস্ট ২০১৪ | ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বীমা গ্রহীতাদের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রাজারহাটে পপুলার লাইফের শাখা ব্যবস্থাপক দু’দিন অবরুদ্ধ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
আগস্ট ৯, ২০১৪ ৭:০৩ অপরাহ্ণ
বীমা গ্রহীতাদের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রাজারহাটে পপুলার লাইফের শাখা ব্যবস্থাপক দু’দিন অবরুদ্ধ

মাহফুজার রহমান (মনু) রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক (বিএম) এরশাদ আলী কর্তৃক ১২৬ জন বীমা গ্রহীতার প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাত করে এক বছর ধরে গা-ঢাকা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বীমা গ্রহীতারা আটক করে। দু’দিন আটক থাকার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক শালিস বৈঠকের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ টাকা বাকী টাকা ১০ দিন সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে এ মর্মে অঙ্গীকার দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র গতিয়াশাম এলাকার আব্দুল জলিলের পুত্র শাখা ব্যবস্থাপক পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ রাজারহাট অফিসের ১২৬ জন বীমা গ্রহীতার প্রায় ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা না দিয়ে ক’জন মিলে যোগসাজস করে আত্মসাত পূর্বক গা-ঢাকা দেয়। বীমা গ্রহীতারা পড়ে চরম বিপাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবীচরণ মন্ডলের বাজার নামক স্থানে হঠাৎ ওই শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলীকে ক’জন বীমা গ্রহীতারা দেখে তাকে আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে প্রায় শতাধিক বীমা গ্রহীতারা জড়ো হয়। পরে ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন বিষয়টি রাজারহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হককে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তাকে টাকা পরিশোধের সময় বেঁধে দেন এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলী ও বীমা গ্রহীতাদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক মন্ডলের বাজার নামক স্থানে এক শালিস বৈঠকে বসে। পরে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলী নগদ ১ লাখ টাকা এবং বাকী টাকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করবে মর্মে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এনতাল হোসেন মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে নেন। বীমা গ্রহীতা সদর ইউপি’র দেবীচরণ গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী ফরিদা পারভীন, পুটিকাটা মাল্লিরপাড় এলাকার বজলুর রহমানের স্ত্রী মন্জু বেগম, দেবীচরণ এলাকার আবু বক্করের স্ত্রী হাছনা আক্তারসহ প্রতারণার শিকার প্রায় শতাধিক ব্যক্তির শালিস চলাকালীন বীমার বই ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বীমার টাকা আত্মসাতকারী ব্যক্তি এরশাদ আলীর কাছে মুচলেকা পূর্বক ওই বীমার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গ্রহীতাদের টাকা পরিশোধ করবে মর্মে মিমাংসা করা হয়েছে এবং এর কোন ব্যত্যয় ঘটলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন বলেন, শালিস বৈঠকে বীমার প্রতারণাকারীদের বই জমা নেয়া হয়েছে এবং বাকী অর্থ জমা হলে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে গ্রহীতাদের টাকা পরিশোধ করা হবে। অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলীর সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীরা টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!