চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে মলবাহী জীবাণু পাওয়া গেছে। এই মলবাহী জীবানু পানির সাথে পেটে যাওয়ার ফলেই ডায়রিয়া হচ্ছে।’ পানি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে এ তথ্য জানালেন চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর আলী। অন্যদিকে পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন জানালেন, ট্যাংকির পানি পরীক্ষা করে কোনো ধরনের ময়লা পাওয়া যায়নি। তবে স্যুয়ােেরজের কোন সমস্যার কারনে ময়লা ঢুকতে পারে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে ভয়াবহ ভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, মহিলা ও পুরুষ। গত ৮ দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১ হাজার ১শ ১৬ জন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনা জানার পর ঢাকা থেকে আসা রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান কলেরা হাসপতালের যৌথ মেডিকেল টিম ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দুটি টিম কারণ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডায়রিয়া কবলিত এলাকার পৌরসভার পানি সংগ্রহ করে তাদের জোনাল অফিস ঝিনাইদহ পাঠায়। পানি পরীক্ষার পর জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে মলবাহী জীবাণু আছে। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা তাদের সাপ্লাই পানি পান না করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র সাথে বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও ঔষধ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও সিডিসি’র লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক বেনজির আহমেদ চুয়াডাঙ্গা পরিদর্শনে আসেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি জেলা সিভিল সার্জন অফিসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মামুন পারভেজ। মতবিনিময় কালে হঠাৎ করেই এবারে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার কারণ ও এর প্রতিকারের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
